রাজ্য পুলিশের ছ’জন অফিসারকে বদলির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হল শুক্রবার। এই তালিকায় রয়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার দু’জন— মহেশতলার মহকুমা পুলিশ আধিকারিক (এসডিপিও) কামরুজ্জামান মোল্লা এবং ওই মহকুমারই রবীন্দ্রনগর থানার আইসি মুকুল মিয়া।
কামরুজ্জামানকে রাজ্য সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর তৃতীয় ব্যাটালিয়নের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ডান্ট পদে বদলি কর হয়েছে। মুকুলকে পাঠানো হয়েছে, দার্জিলিঙে। ঘটনাচক্রে, দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর বচসা ও হাতাহাতির জেরে বুধবার রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল মহেশতলার রবীন্দ্রনগর। পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয় যথেচ্ছ ইট-পাথর। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় পুলিশের মোটরবাইক। হামলায় জখম হন কলকাতা পুলিশের ডিসি (বন্দর)-সহ কয়েক জন পুলিশকর্মী। পরে পরিস্থিতি সামলাতে র্যাফ এবং কমব্যাট বাহিনী মোতায়েন করতে হয়। পাঠাতে হয় চার জন আইপিএসের নেতৃত্বে বাড়তি বাহিনী।
আরও পড়ুন:
ওই ঘটনায় ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশের ‘ভূমিকা’ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সেই আবহে এই বদলি ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে প্রশাসনের একাংশ মনে করছে। কামরুজ্জামানের স্থানে উত্তর ২৪ পরগনার রাজারহাট থানায় আইসি (বিধাননগর কমিশনারেটের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদের মর্যাদাপ্রাপ্ত) সৈয়দ রাজিবুল কবীরকে মহেশতলার এসডিপিও করা হয়েছে। মুকুলকে সরিয়ে মালদহের রতুয়ার সিআই সুজনকুমার রায়কে ররীন্দ্রনগরের আইসি পদে বসানো হয়েছে। বদলি হওয়া অন্য অফিসারদের মধ্যে রাজ্য পুলিশের এসটিএফের ইনস্পেক্টর জোনাকি বাগচি পেয়েছেন রাজারহাট থানায় আইসির দায়িত্ব। মালদহ জেলা পুলিশ লাইনের ইনস্পেক্টর গৌতম চৌধুরী রতুয়ার নতুন সিআই হয়েছেন।