কোটা পঞ্চায়েত এলাকার এই হিমঘরটি নিয়েই প্রশ্ন। নিজস্ব চিত্র
এলাকায় তৈরি হয়েছে একটি হিমঘর। সে জন্য বহু চাষিই আলু বোঝাই বস্তা রাখতে এসেছেন হিমঘরে। কিন্তু এসে দেখা যাচ্ছে, হিমঘরে বিদ্যুৎ নেই। জেনারেটরের সাহায্যে শুধু আলো জ্বলছে। পাশাপাশি, হিমঘর ঠান্ডা রাখার ব্যবস্থাও নেই। পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম ২-এর বুদবুদের কোটা পঞ্চায়েত এলাকার হিমঘরটির হাল এমনই, অভিযোগ চাষিদের। প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
পানাগড় বাইপাসের ধারে, ওই হিমঘরটি স্থানীয় ভাবে ‘পানাগড়ের হিমঘর’ হিসাবেই এলাকায় পরিচিত। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ থেকে হিমঘরটি বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু কয়েক দিন আগেই ফের হিমঘরটি চালু হবে বলে প্রচার শুরু হয় কাঁকসা, বুদবুদের বিভিন্ন এলাকায়। সে খবর পেয়ে ওই সব এলাকার অনেক চাষিই আলু নিয়ে আসতে শুরু করেন ওই হিমঘরে। সিলামপুর মানা থেকে আলু নিয়ে এসেছিলেন সমীর সামন্ত। তিনি বলেন, “আলু নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু গিয়ে দেখলাম, হিমঘর ঠান্ডা রাখারই ব্যবস্থা নেই! হিমঘরে হিম-ই না থাকলে কী লাভ।” মঙ্গল চৌধুরী নামে এক চাষির প্রতিক্রিয়া, “হিমঘর চালু হয়েছে শুনে আলু নিয়ে গিয়ে দেখি, শ্রম, অর্থ, সবই বৃথা গেল।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হিমঘর কর্তৃপক্ষের দাবি, মাধ্যমিক পরীক্ষা থাকায় এখন বিদ্যুৎ-সংযোগ পাওয়া যায়নি। বিষয়টি আগেভাগে বোঝা যায়নি। তাই এই অবস্থা। বিডিও (আউশগ্রাম ২) গোপাল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করেছে। ওই হিমঘরে ইতিমধ্যে যত আলু রাখা হয়েছে, তা অন্যত্র সরানোর বিষয়ে আশ্বাস
দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy