শ্রীরামপুর শ্রমজীবী হাসপাতাল। ফাইল চিত্র।
রাজ্য সরকারের কাছে চিকিৎসা বাবদ প্রাপ্য ৮ কোটি টাকা। এখনও সেই টাকা না পেলেও এর মধ্যেই ফের সংক্রমণ বাড়তে শুরু করায় পরিষেবা দেওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছে শ্রীরামপুরের শ্রমজীবী হাসপাতাল।
হুগলিতে কোভিড হাসপাতাল বলতে কেবলমাত্র ব্যান্ডেল ইএসআই হাসপাতাল। সেখানে আইসিইউ বেড সীমিত। আরও বেডের প্রয়োজন। তাই শ্রমজীবী হাসপাতালকে ফের তৈরি করা হচ্ছে পরিষেবা দেওয়ার জন্য। হুগলির জেলাশাসক দীপা প্রিয়া জানিয়েছেন, সিঙ্গুর ট্রমা কেয়ার, শ্রীরামপুর ও চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালগুলিকে প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। এ ছাড়া মানুষকে সচেতন করার জন্য আবার প্রচার শুরু হয়েছে।
গত বছর শ্রমজীবী হাসপাতালে প্রায় ২ হাজার আক্রান্তের চিকিৎসা হয়েছিল। বহু মানুষ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। হাসপাতালের সহ সম্পাদক গৌতম সরকার জানান, করোনা আক্রান্তদের প্রয়োজন হয় অক্সিজেনের। সেই কারণে করোনা কালে হাসপাতালে অক্সিজেনারেটর তৈরি করা হয়েছে। হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী থেকে সাফাই কর্মীরা নিরলস পরিশ্রম করেছেন। সেই খাতে খরচের ৮ কোটি টাকা এখনও সরকারের কাছে পাওনা রয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর থেকে স্বাস্থ্য ভবনে বারবার জানানো হলেও এখনও টাকা মেলেনি।
গৌতম আরও বলেন, ‘‘মানবিক দৃষ্টিভঙ্গী থেকে হাসপাতালকে করোনা চিকিৎসায় দেওয়া হয়েছিল। বেলুড় শ্রমজীবী হাসপাতালে অন্যান্য রোগীদের পাঠিয়ে শ্রীরামপুরের হাসপাতালকে পুরোপুরি কোভিডের জন্য দিয়ে দেওয়া হয়। সরকার বলেছিল স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনা আক্রান্ত হলে ১ লাখ টাকা করে পাবেন। শ্রমজীবীর ২৫ জন স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হন। অথচ মাত্র ৪ জন টাকা পেয়েছেন। সরকারকেও দেখতে হবে হাসপাতালটা যেন চালু থাকে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy