শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী ও তাঁর মেয়ে অঙ্কিতা
কলকাতা হাই কোর্টে মঙ্গলবারই এসএসসির সদ্য পদত্যাগী চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার জানিয়েছিলেন, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতার চাকরি পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পদ থেকেই সরে দাঁড়ালেন সিদ্ধার্থ। এই দুয়ের মধ্যে কি কোনও যোগসূত্র রয়েছে, জল্পনা তৈরি হয়েছে।
পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা যোগ্য প্রার্থীকে ডিঙিয়ে চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার আদালতে এই সম্পর্কিত তথ্য জানিয়েছিলেন সিদ্ধার্থ। তার পরেই আদালত রাত আটটায় পরেশকে সিবিআই দফতরে হাজির হওয়ার নির্দেশ জারি করে। কিন্তু সেই সময় পরেশ নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারের মেখলিগঞ্জে থাকায় হাজির হতে পারেননি। তবে, মেয়েকে নিয়ে তড়িঘড়ি কলকাতা রওনা দেন। বিমানের টিকিট না পাওয়ায় জলপাইগুড়ি রোড স্টেশন থেকে পদাতিক এক্সপ্রেসে চাপেন তিনি। ভোররাতে নামেন বর্ধমান স্টেশনে। সেখান থেকে সোজা বর্ধমান সার্কিট হাউসে। কিন্তু বিকেল থেকে আর কোনও খোঁজ নেই শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর। তাঁর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার নোটিস জারিরও ভাবনাচিন্তা চলছে। সেই পরিস্থিতিতে আদালতকে এই সংক্রান্ত তথ্য দিয়েছিলেন যে এসএসসি চেয়ারম্যান, তিনিই ইস্তফা দিলেন।
প্রসঙ্গত, হাই কোর্টের নির্দেশেই এসএসসি চেয়ারম্যান পদ থেকে সরতে হয়েছিল শুভশঙ্কর সরকারকে। তাঁর জায়গায় গত ১৩ জানুয়ারি এসএসসি চেয়ারম্যান পদে বসেছিলেন কলকাতার সিটি কলেজের শিক্ষক সিদ্ধার্থ মজুমদার। তাঁকে বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুরও ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করা হচ্ছে কোনও কোনও মহল থেকে। ৪ মাসের মধ্যেই সেই পদ থেকে সরলেন তিনি। প্রশাসনিক সূত্রের দাবি, সিদ্ধার্থকে সরে যেতে বলা হয়েছে নবান্ন থেকে। তবে এই দাবির আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি মেলেনি। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে, এজলাসে মন্ত্রীর মেয়ের চাকরির ব্যাপারে তথ্য দিয়েই কি পদ হারাতে হল সিদ্ধার্থকে?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy