Advertisement
E-Paper

হাওড়া পুরসভার ভোটের জন্য তৈরি রাজ্য নির্বাচন কমিশন, নবান্নের সবুজ সঙ্কেতের অপেক্ষা

নবান্নের একটি সূত্র জানাচ্ছে, শুধু হাওড়াই নয়, দুর্গাপুর, পূজালির মতো পুরসভাও ভোটের অপেক্ষা করছে। তাই সব পুরসভার বিষয় খতিয়ে দেখার পর পুরভোট নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। তবে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, আগামী বছর মার্চ, এপ্রিল এবং মে মাস জুড়ে হতে পারে সাধারণ বিধানসভা নির্বাচন।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০২৫ ১৩:৪৮
State election commission is prepared for Howrah municipal corporation election

—প্রতীকী ছবি।

গত সপ্তাহে হাওড়া পুরসভার সংশোধনী বিলে সম্মতি দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। আর তাতেই দূর হয়েছে হাওড়া পুরভোট নিয়ে জটিলতা। ২০১৩ সালে শেষ বার হাওড়া পুরসভা এলাকায় পুর নির্বাচন হয়েছিল। ২০১৫ সালে বালি পুরসভার ৩৫টি ওয়ার্ডের আসন পুনর্বিন্যাস করে ১৬টি ওয়ার্ড করে তা যুক্ত করা হয় হাওড়া পুরসভায়। ভোটে শাসকদল ১৬টি আসনে জয় পায়। কিন্তু ২০২১ সালে তৃতীয় বার ক্ষমতায় এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে হাওড়া পুরসভা থেকে বালি পুরসভাকে ফের আলাদা করে দেওয়ার বিল পাশ করে রাজ্য। কিন্তু এ ক্ষেত্রে জটিলতা তৈরি হয় রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় বিল নিয়ে কয়েকটি প্রশ্ন তুলে তাতে সম্মতি না দেওয়ায়। ২০২২ সালের জুলাই মাসে ধনখড় দেশের উপরাষ্ট্রপতি হলে, অস্থায়ী ভাবে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের দায়িত্ব পান লা গণেশন।

মনে করা হয়েছিল, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে অস্থায়ী রাজ্যপালের সুসম্পর্কের নিরিখে হাওড়া পুরসভার বিলে অনুমোদন পাওয়া যাবে রাজভবনের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হাওড়া পুরসভার বিলে অনুমোদন দেননি গণেশন। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্ব নেন আনন্দ বোস। ২০২৩ সালের ২৬ জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে রাজভবনে আয়োজিত হয় রাজ্যপাল আনন্দ বোসের বাংলা শেখার হাতেখড়ি অনুষ্ঠান। সেই সময় অনেকেই মনে করেছিলেন, মমতা-আনন্দের এমন সম্পর্কের সমীকরণে হাওড়া পুরসভার বিলেও অনুমোদন পাওয়া যাবে। কিন্তু তিনিও সম্মতি দিতে চাননি। কিন্তু গত সপ্তাহে মোট পাঁচটি বিলে স্বাক্ষর করে তাতে সম্মতি দেয় রাজভবন। তাতে দেখা যায়, হাওড়া পুরসভা বিলেও সম্মতি দিয়েছেন রাজ্যপাল। তার পরেই ১২ বছর ধরে আটকে থাকা হাওড়ার পুরভোট নিয়ে আশার আলো দেখতে শুরু করেন হাওড়ার বাসিন্দারা।

তবে নির্বাচন কমিশনের একটি সূত্র জানাচ্ছে, তারা হাওড়া পুরসভার নির্বাচন করাতে সব রকম প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে। এখন রাজ্য সরকার তাদের ভোট করানোর বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত দিলেই তারা ভোট করাতে উদ্যোগী হবে। প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকারের তরফে পুরসভা সংক্রান্ত বিষয়ে দেখভালের দায়িত্ব রাজ্যের পুর ও নগরোন্নন দফতরের। বর্তমানে এই দফতরের মন্ত্রী কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। রাজ্যপাল হাওড়া বিলে সায় দেওয়ার পর তিনিও সন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন সংবাদমাধ্যমে। তবে নির্বাচন কবে হবে, সে বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি পুরমন্ত্রী। তবে নবান্নের একটি সূত্র জানাচ্ছে, শুধু হাওড়াই নয়, দুর্গাপুর, পূজালির মত পুরসভাও ভোটের অপেক্ষা করছে। তাই সব পুরসভার বিষয় খতিয়ে দেখার পর পুরভোট নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। তবে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, আগামী বছর মার্চ, এপ্রিল, মে মাস জুড়ে হতে পারে সাধারণ বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এই সব পুরভোট নিয়ে রাজ্য কতটা অগ্রসর হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই।

Howrah Municipal Corporation municipal election Nabanna
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy