E-Paper

পঞ্চায়েতের প্রস্তুতিতে কোমর বাঁধছে কমিশন

সিভিক ভলান্টিয়ার, পঞ্চায়েতের কর সংগ্রহকারী, রেশন ডিলার, হোমগার্ড-সহ রাজ্য সরকারের স্থায়ী বা চুক্তিভিত্তিক কোনও কর্মী ভোটে দাঁড়াতে পারবেন না।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩ ০৬:০৮
State Election Commission.

রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ফাইল চিত্র।

পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে রাজ্য সরকারের তরফে কোনও বার্তা না পেলেও তার প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কারা ওই ভোটে প্রার্থী হওয়ার যোগ্য, সম্প্রতি সব জেলা প্রশাসনকে তা লিখিত ভাবে জানিয়ে দিয়েছে তারা। সেই চিঠি অনুযায়ী, শিক্ষক, শিক্ষিকা থেকে ঠিকাদার—মোট ২০টি পেশার সঙ্গে যুক্ত মানুষ ভোটে দাঁড়াতে পারবেন। আবার সিভিক ভলান্টিয়ার-সহ প্রায় ১৮টি পেশার মানুষেরা ভোটে দাঁড়াতে পারবেন না। নির্দল প্রার্থীদের ক্ষেত্রে কী করণীয়, তা-ও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে কমিশনের চিঠিতে।

ভোটে দাঁড়াতে যোগ্যদের মধ্যে বিদ্যালয় শিক্ষক শিক্ষিকারা যেমন থাকতে পারেন, তেমনই অধ্যাপকেরাও সেই সুযোগ পাবেন। তবে সেই অধ্যাপকেরা সরকারি কোনও কলেজের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন না। তবে স্কুল শিক্ষক, শিক্ষিকাদের ক্ষেত্রে সেই বিধিনিষেধ নেই। পার্শশিক্ষকদের ক্ষেত্রেও বাধা নেই। রাজ্য সরকারের সঙ্গে যুক্ত নয় এমন শিশু শিক্ষা কেন্দ্র এবং শিশু শ্রমিক স্কুলের ‘ইনস্ট্রাকটর’-রাও ভোটে দাঁড়াতে পারবেন। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী-সহায়ক, আশাকর্মীদেরও ভোটে দাঁড়াতে বাধা নেই। ত্রিস্তর পঞ্চায়েত এবং পূর্ত দফতরের সঙ্গে যুক্ত ঠিকাদারেরাও ভোটে দাঁড়াতে পারবেন। তবে পঞ্চায়েতের কোনও স্তর এবং সরকারি দফতরগুলির কোনও কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকা যাবে না। বিদ্যুৎ পর্ষদেরও কোনও কর্মী ভোটে দাঁড়াতে পারবেন, তবে পর্ষদের অনুমতি লাগবে। শিশু শিক্ষা কেন্দ্র এবং মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রের সহায়কেরাও চাইলে ভোটে দাঁড়াতে পারেন। তবে সিভিক ভলান্টিয়ার, পঞ্চায়েতের কর সংগ্রহকারী, রেশন ডিলার, হোমগার্ড-সহ রাজ্য সরকারের স্থায়ী বা চুক্তিভিত্তিক কোনও কর্মী ভোটে দাঁড়াতে পারবেন না।

নির্দল প্রার্থীদের ক্ষেত্রেও ভোটে দাঁড়ানো এবং মনোনয়ন জমা দেওয়ার বিধি স্থির করে দিয়েছে কমিশন। জেলা কর্তাদের লিখিত ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, নির্দল প্রার্থীর সই করা মনোনয়নপত্রে সংশ্লিষ্ট এলাকার এক জন ভোটারেরও সই লাগবে ‘প্রোপোজার’ বা প্রস্তাবক হিসাবে। তবে নির্দল এবং কোনও দলের সমর্থনে হওয়া প্রার্থীদের ক্ষেত্রে একই বিধি স্থির করে দিয়েছে কমিশন। প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকদের মতে, গত পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন নিয়ে বিস্তর সমস্যা এবং অভিযোগ উঠেছিল রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। ফলে আগে থেকে বিধি স্পষ্ট করে দেওয়া খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

West Bengal Panchayat Election 2023 West Bengal

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy