মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে আয়োজিত বিজিবিএসে উত্তরবঙ্গকেও তুলে ধরার প্রয়াস। ফাইল চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাহাড় সফরের পরেই শিল্প সম্ভাবনা পাহাড়ে। উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং জেলার গারিধুরায় একটি তথ্য প্রযুক্তি পার্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ শুরু হয়েছে। চলতি মাসেই রাজ্য সরকারের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন (বিজিবিএস)। করোনা সংক্রমণের কারণে গত দু’বছর রাজ্যে এই শিল্প সম্মেলনের আসর বসেনি। তাই এ বার তার আয়োজনে কোনও খামতি রাখতে নারাজ রাজ্য সরকার। তাই দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি, উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও বিনিয়োগ টানার বিষয়ে নজর দেওয়া হয়েছে।
অন্যান্য শিল্পতালুকের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গে একটি পূর্ণাঙ্গ তথ্যপ্রযুক্তি পার্ক গড়তে চাইছে রাজ্য। এর জন্য জমি চিহ্নিত করা হয়েছে দার্জিলিংয়ের গারিধুরায়। ইতিমধ্যে দার্জিলিংয়ে তথ্যপ্রযুক্তি পার্ক গড়া নিয়ে রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে একপ্রস্ত কথা হয়েছে জেলা আধিকারিকদের সঙ্গে। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, গারিধুরায় ১২ একর জমি রয়েছে। সেই জমি হাতে পেলেই শুরু হয়ে যাবে পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ। এই পার্ক তৈরি হয়ে গেলে আট থেকে ১০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা রয়েছে। বিনিয়োগ টানার ক্ষেত্রেও দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি সমান গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে উত্তরবঙ্গকে। চোখে পড়ার মতো বিষয় এই যে, উত্তরবঙ্গের জন্য ১৮ থেকে ২০টি এই ধরনের ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক তৈরির প্রস্তাব এসেছে রাজ্যের কাছে।
প্রশাসন সূত্রে মুখ্যমন্ত্রী জেনেছিলেন,ডাবগ্রামে একটি বড় জমি রয়েছেযা দখল হয়ে যাচ্ছে। ওই জমিতে একটি ক্ষুদ্রশিল্প পার্ক গড়ে তোলার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। দিন ১৫ আগে সেই জমি হাতে পেয়েছে রাজ্যের ক্ষুদ্র শিল্পোন্নয়ন নিগম। ওই ৩০ একর জমিতে এবার পরিকাঠামো গড়ার কাজ শুরু হতে চলেছে শীঘ্রই। মূলত চা, আসবাবপত্র, কাঠের বাসন ও বিভিন্ন ধরনের ক্ষুদ্রশিল্পের ইউনিট তৈরি হবে ডাবগ্রামের এই শিল্প তালুকে। এ ক্ষেত্রে প্রচুর মানুষের কর্মসংস্থান হবে। ইতিমধ্যে ইডিপিআর (প্রকল্পের বিশদ রিপোর্ট) তৈরির কাজ শুরু হয়েছে বলেই প্রশাসন সূত্রে খবর।
সম্প্রতি বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের আগে মালদহ ও কোচবিহার থেকে আরও দু’টি করে বেসরকারি জমিতে শিল্পতালুক গড়ার প্রস্তাব এসেছে। জমিও চিহ্নিত করা হয়েছে। জেলাশাসকদের সঙ্গে এই বিষয়ে কথাও হয়েছে নবান্নের। রাজ্য প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, ‘‘বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে সার্বিকভাবে রাজ্যের শিল্পবান্ধব পরিবেশ তৈরি করাই সরকারের লক্ষ্য। তাই দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির মতো উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার প্রস্তাবিত শিল্পতালুকগুলিকেও বিশ্ববঙ্গ সম্মেলনে তুলে ধরার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy