E-Paper

কেন্দ্রীয় প্রকল্পের স্বার্থেই ট্র্যাফিকের তথ্য চাইল রাজ্য পরিবহণ দফতর

রাজ্য পুলিশ এলাকায় জাতীয় সড়কের মোট পরিমাণ প্রায়আড়াই হাজার কিলোমিটার। আর রাজ্য সড়কের পরিমাণ সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটারের কিছু বেশি।

শিবাজী দে সরকার

শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০২৫ ০৬:২২
গত মাসে পরিবহণ দফতর থেকে রাজ্য ট্র্যাফিক পুলিশ এবং কলকাতা পুলিশের কাছে তথ্য চাওয়া হয়েছিল।

গত মাসে পরিবহণ দফতর থেকে রাজ্য ট্র্যাফিক পুলিশ এবং কলকাতা পুলিশের কাছে তথ্য চাওয়া হয়েছিল। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

রাজ্যের জেলা এবং পুলিশ কমিশনারেট এলাকায় কতগুলি গুরুত্বপূর্ণ মোড় আছে,কতগুলি রাস্তায় গাড়ির চাপ অতিরিক্ত এবং কোন কোন রাস্তা যান চলাচলের দিক থেকে বিপজ্জনক, সেই সব তথ্য পুলিশের কাছে জানতেচেয়েছিল রাজ্য পরিবহণ দফতর। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, ওই তিনটি ক্ষেত্রে বৈদ্যুতিন নজরদারির কী ব্যবস্থা রয়েছে, তা-ওএলাকা ধরে ধরে জানাতে বলা হয়েছিল। সে সব পাঠিয়েও দেওয়া হয়েছে।

রাজ্য পুলিশের এক কর্তা জানান, গত মাসে পরিবহণ দফতর থেকে রাজ্য ট্র্যাফিক পুলিশ এবং কলকাতা পুলিশের কাছেওই বিষয়ে জানাতে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। তার ভিত্তিতে রাজ্য ট্র্যাফিক পুলিশ জেলা এবং পুলিশ কমিশনারেটের কাছে তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছিল। পাশাপাশি, লালবাজার তাদের এলাকার ট্র্যাফিক গার্ডগুলির কাছে ওই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য চেয়েছিল। সব জায়গা থেকে তথ্য মেলার পরেই তা পরিবহণ দফতরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। মূলত গুরুত্বপূর্ণ মোড়,যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ রয়েছে এমন রাস্তা এবং যান চলাচলের দিক থেকে বিপজ্জনক রাস্তার ট্র্যাফিক পরিকাঠামো খাতে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকার জন্য ওই তথ্য চাওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

রাজ্য পুলিশ এলাকায় জাতীয় সড়কের মোট পরিমাণ প্রায়আড়াই হাজার কিলোমিটার। আর রাজ্য সড়কের পরিমাণ সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটারের কিছু বেশি। সব রাস্তাতেই যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে রাজ্য ট্র্যাফিক পুলিশের বিভিন্ন গার্ড। সূত্রের দাবি, ওই যান নিয়ন্ত্রণ করার জন্য পরিকাঠামো বাবদ বিভিন্ন প্রকল্পে টাকা দিয়ে থাকে কেন্দ্র। সে রকমই একটি প্রকল্পের জন্য ওই সব তথ্য জানতে চেয়েছিল পরিবহণ দফতর।

যে সব রাস্তায় যানবাহনের চাপ অতিরিক্ত রয়েছে, সেখানে কী ভাবে নজরদারি চালানো হয়, তা জানাতে বলা হয়েছে। অর্থাৎ, ওই রাস্তায় নজরদারির জন্যকোনও স্পিড রেডার গান, সিসি ক্যামেরা, লাল সিগন্যাল লঙ্ঘন নির্ণায়ক যন্ত্র রয়েছে কিনা, জানাতে বলা হয়েছে। থাকলে, তার কতগুলি কার্যকর, তা-ও বলতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি, গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড়ে কী রকম নজরদারি চলে, জেলাগুলির মতো কলকাতা পুলিশকেও তা জানাতে বলা হয়েছিল।

কলকাতা পুলিশের এক কর্তা জানান, শহরের সব গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় কী ধরনের বৈদ্যুতিননজরদারি চলে, তার তালিকা তৈরি করে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনকি, ওই খাতে গত এক বছরে কত টাকা মঞ্জুর হয়েছে এবং তারকত টাকা কোন খাতে খরচ হয়েছে, সেটিও জানাতে বলা হয়েছিল। রাজ্য ট্র্যাফিক পুলিশকেও গতঅর্থবর্ষের ওই হিসেব জানাতে বলা হয়েছিল।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Public Transport Transport

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy