Advertisement
E-Paper

পড়ার সঙ্গে খেলার ফাঁকেই দ্বিতীয় অর্চিষ্মান

মাধ্যমিকের মেধা তালিকার সম্ভাব্য প্রথম দশে দশটি স্থানেই হুগলি ছেলেমেয়েদের জয়জয়কার। ৬৮৩ নম্বর পেয়ে হুগলি কলেজিয়েট স্কুলের অর্চিষ্মান পানিগ্রাহী দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে। ওই স্কুলেরই ঋত সাঁতরা নবম স্থানে রয়েছে। তার ঝুলিতে ৬৭৫ নম্বর। সম্ভাব্য ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে জেলারই দু’জন। এক জন মাহেশ শ্রীরামকৃষ্ণ আশ্রম বিবেকানন্দ বিদ্যালয়ের ময়ঙ্ক চট্টোপাধ্যায় আর এক জন পাণ্ডুয়া রাধারানি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের দেবালী সরকার। দুজনেই পেয়েছে ৬৭৮। দেবালী মেয়েদের মধ্যে সম্ভাব্য প্রথম। ১ নম্বর কম পেয়ে ময়ঙ্কের সতীর্থ অরিজিৎ সেন এবং মাহেশ শ্রীরামকৃষ্ণ আশ্রম উচ্চ বিদ্যালয়ের ঋতম বসাক সপ্তম স্থানে রয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০১৫ ০১:২৪

মাধ্যমিকের মেধা তালিকার সম্ভাব্য প্রথম দশে দশটি স্থানেই হুগলি ছেলেমেয়েদের জয়জয়কার।

৬৮৩ নম্বর পেয়ে হুগলি কলেজিয়েট স্কুলের অর্চিষ্মান পানিগ্রাহী দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে। ওই স্কুলেরই ঋত সাঁতরা নবম স্থানে রয়েছে। তার ঝুলিতে ৬৭৫ নম্বর।

সম্ভাব্য ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে জেলারই দু’জন। এক জন মাহেশ শ্রীরামকৃষ্ণ আশ্রম বিবেকানন্দ বিদ্যালয়ের ময়ঙ্ক চট্টোপাধ্যায় আর এক জন পাণ্ডুয়া রাধারানি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের দেবালী সরকার। দুজনেই পেয়েছে ৬৭৮। দেবালী মেয়েদের মধ্যে সম্ভাব্য প্রথম। ১ নম্বর কম পেয়ে ময়ঙ্কের সতীর্থ অরিজিৎ সেন এবং মাহেশ শ্রীরামকৃষ্ণ আশ্রম উচ্চ বিদ্যালয়ের ঋতম বসাক সপ্তম স্থানে রয়েছে। তার পরেই আছে তারকেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ের অয়নদীপ মণ্ডল এবং ইলছোবা মণ্ডলাই উচ্চ বিদ্যালয়ের কুশল সরকার। দুজনেই অষ্টম স্থানে। দুজনেরই নম্বর ৬৭৬। গোঘাটের কামারপুকুর নয়নতারা বালিকা বিদ্যালয়ের অদিতি চক্রবর্তী ৬৭৭ নম্বর পেয়ে সম্ভাব্য সপ্তম স্থানে। পাণ্ডুয়ার রাধারানি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের পৌষালী চক্রবর্তী সম্ভাব্য নবম স্থানে রয়েছে ৬৭৫ নম্বর পেয়ে।

চুঁচুড়ার ধরমপুরের শান্ত স্বভাবের ছেলে অর্চিস্মান পড়াশোনার ফাঁকে খেলাধূলাও করেছে। বাবা অর্ঘ্যবাবু কোচবিহারের একটি কলেজে পড়ান। মা কাজলিদেবী স্কুলশিক্ষিকা। তাঁর কথায়, ‘‘স্কুলে বরাবরই প্রথম হয়ে এসেছে অর্চিস্মান।’’ উচ্চ মাধ্যমিকে বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে চায় অর্চিস্মান। স্বপ্ন— পদার্থবিদ্যায় গবেষণা করা।

মাহেশ শ্রীরামকৃষ্ণ আশ্রম বিবেকানন্দ বিদ্যালয় তিন বছর আগে ‘সিনিয়র বেসিক’ থেকে মাধ্যমিক স্তরে উত্তীর্ণ হয়। তৃতীয় বছরেই দু’জন ছাত্র প্রথম দশে জায়গা করে নেওয়ায় স্বভাবতই এ দিন উচ্ছ্বাস গোটা স্কুল জুড়ে। কোন্নগরের এস সি চ্যাটার্জি লেনের একটি আবাসনে থাকে ময়ঙ্ক। বাবা যদুপতিবাবু সিইএসসি-র ইঞ্জিনিয়ার। কী অনুভূতি হচ্ছে প্রশ্ন করতেই ময়ঙ্ক বলে, ‘‘এতটা নম্বর পাব আশা করিনি। ইচ্ছা বিজ্ঞান নিয়ে পড়ার। ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়ার ইচ্ছে রয়েছে।’’ অবসরে নেশা গল্পের বইয়ের। রিষড়ার মো়ড়পুকুরের বাসিন্দা ঋতমও ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়। বাবা দীপেন্দুবাবু ইস্টার্ন রেলের কর্মী। পড়াশোনার পাশাপাশি ক্রিকেটের দিকেও ঝোঁক রয়েছে ঋতমের। অবসর সময়ে গানই তার সঙ্গী। শ্রীরামপুরের শশীভূষণ ঘোষ লেনের বাসিন্দা অরিজিৎ চিকিৎসক হতে চায়। পড়াশোনার পাশাপাশি ছবি আঁকতে ভালবাসে। বাবা দেবজিৎবাবু নার্সিংহোমে কাজ করেন।

পাণ্ডুয়ার ক্ষীরকুণ্ডী-নমাজগ্রাম পঞ্চায়েতের সোনারগ্রামের মেয়ে দেবালী স্কুলে বরাবরই প্রথম হয়েছে। বাবা রতনলালবাবু ইঞ্জিনিয়ার। মা শম্পাদেবী শিক্ষিকা। দু’জন গৃহশিক্ষকের পাশাপাশি মায়ের কাছেও মাধ্যমিকের পাঠ নিয়েছে দেবালী। বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে চায় সে। ইচ্ছে অধ্যাপনা করার।

একই গ্রামের বাসিন্দা পৌষালীও বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে চায়। বাবা সুশান্তবাবু অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক। মা জয়ন্তী মজুমদার চক্রবর্তী রাধারানি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়েরই শিক্ষিকা। পাণ্ডুয়ার প্রত্যন্ত এলাকা ইলছোবার কিশোর কুশল কুমারের বাবা কুন্তলবাবু চাষি। কুশলের স্বপ্ন চিকিৎসক হয়ে গ্রামের মানু‌ষের সেবা করা। তার কথায়, ‘‘গ্রামে চিকিৎসকের জন্য মাথা কুটে মরতে হয়। সেই অভাব কিছুটাও যদি মেটাতে পারি, সেই চেষ্টাই করব।’’

গোঘাটের কামারপুকুরের বাসিন্দা অদিতি চক্রবর্তী পড়াশোনার পাশাপাশি রবীন্দ্রসঙ্গীত এবং ধ্রুপদ সঙ্গীতের তালিম নেয়। বাবা অমিয় চক্রবর্তী স্কুল শিক্ষক। চুঁচুড়া স্টেশন রোডের বাসিন্দা ঋতর ইচ্ছা বিজ্ঞান নিয়ে পড়ার।

madhyamik examination students teacher vivekananda sriramkrishna southbengal
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy