খাতায়কলমে এক বছরও বাকি নেই পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচন নিয়ে এখন থেকেই সরব বঙ্গ বিজেপি। ভোটের আগেই রাজ্যের পুলিশ আধিকারিকদের বদলি চাইছে তারা। আগামী ডিসেম্বর মাস থেকে বদলির কাজ শুরু হোক বলে দাবি জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
সোমবার বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে নিয়ে রাজ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও)-এর দফতরে গিয়ে দেখা করেন শুভেন্দু। তার পরে বাইরে বেরিয়ে তাঁর দাবি, ‘‘আগামী বিধানসভা নির্বাচনে এই রাজ্যের পুলিশ আধিকারিকদের দিয়ে ভোট করানো নয়, ভোটের সময় তাঁদের রাজ্যের বাইরে পাঠানো হোক।’’ শুভেন্দুর মতে, ‘‘রাজ্যের বাইরে যে কোনও জায়গা থেকে এসপি, ওসি, আইসিদের নিয়ে এসে বসানো হোক।’’ বিরোধী দলনেতার দাবি, প্রয়োজনে ভোট পরিচালনার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দেওয়া হোক!
সিইও অফিস থেকে বেরিয়ে শুভেন্দু অভিযোগ করেন, পুলিশ আধিকারিকদের নির্বাচনের সময় ফোনে পাওয়া যায় না। বিরোধী দলনেতার কথায়, ‘‘ভোটগ্রহণের ৪৮ ঘণ্টা আগে থেকেই আর পুলিশদের ফোনে পাওয়া যায় না। ওরা বিরোধীদের ফোন ধরেন না।’’ এ কথা বলতে গিয়ে মুর্শিদাবাদের সাম্প্রতিক অশান্তির প্রসঙ্গ টেনে আনেন শুভেন্দু। তিনি জানান, কলকাতা হাই কোর্টে রিপোর্ট দিয়ে কমিটি জানিয়েছে, পীড়িত লোকেরা থানায় ফোন করেছেন। তবুও পুলিশ ফোন ধরেনি।
আরও পড়ুন:
শুধু পুলিশ নয়, শুভেন্দুর নিশানায় ছিল সরকারি আধিকারিকদের একাংশের ভূমিকাও। কমিশনের দফতরে তাঁদের নামে অভিযোগও করেছে বিজেপি। বিরোধী দলনেতার কথায়, ‘‘পাবলিক সার্ভিস কমিশনে সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছে ওই অংশ। তারা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত।’’ অন্য দিকে, কমিশনের ওয়েবসাইটে ঢুকে বেআইনি ভাবে অযোগ্য ভোটারদের নাম ঢোকানোর অভিযোগ ওঠে কাকদ্বীপ মহকুমাশাসকের ‘অ্যাসিস্ট্যান্ট সিস্টেম ম্যানেজার’ অরুণ গড়াইয়ের বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে রাজ্য পুলিশের পরিবর্তে সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছে বিজেপি।