গত পুরভোটে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর তাঁর নিজের বুথেই পিছিয়ে থাকা নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা নির্বাচনে অবশ্য শুভেন্দু ও তাঁর পরিবারের সদস্যেরা যে দু’টি বুথে ভোট দিয়েছেন, সেখানে এগিয়ে বিজেপিই। সেই তথ্য এবং মমতার বিধানসভা এলাকা ভবানীপুরের বুথের ভোট-পরিসংখ্যান তুলে ধরে এ বার পাল্টা কটাক্ষ করলেন শুভেন্দু।
শুভেন্দু সমাজমাধ্যমে শনিবার একটি ‘পোস্ট’ করে অভিযোগ করেছেন, ‘দলদাস রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ব্যবস্থাপনায় ও চটি চাটা পুলিশের পাহারায়’ ২০২২-এর পুরভোট হয়েছিল। তাঁর সংযোজন, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাহারায় হওয়া লোকসভা নির্বাচনে আমি নিজে যে নন্দীগ্রামের নন্দনায়কবাড় প্রাইমারি স্কুলের বুথে ভোট দিয়েছি ও আমার পরিবারের সদস্যেরা কাঁথির প্রভাত কুমার কলেজের যে বুথে ভোট দিয়েছেন, তার ফলাফল তুলে ধরলাম।’ এর পরেই বিরোধী দলনেতার তুলে ধরা পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত নন্দীগ্রামের ওই প্রাথমিক স্কুলের বুথে ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে তৃণমূল প্রার্থী মমতার থেকে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু ১৯৫টি ভোট বেশি পেয়েছিলেন। লোকসভায় বিজেপির পক্ষে সেই ব্যবধানটা হয়েছে ১৮২টি ভোট। কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ওই কলেজের বুথে বিজেপি ৭৩টি ভোটে তৃণমূলের থেকে এগিয়ে রয়েছে। এর পরেই শুভেন্দুর তোপ, ‘এ বারে মাননীয়া নিজে পর্যালোচনা করে দেখুন, দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ভবানীপুর (উনি নিজেই এখানকার ‘কম্পার্টমেন্টাল’ বিধায়ক) বিধানসভার আটটি ওয়ার্ডের মধ্যে পাঁচটিতে (৬৩, ৭০, ৭১, ৭২ ও ৭৪ নম্বর ওয়ার্ড) বিজেপি ভাল ব্যবধান এগিয়ে রয়েছে।’
যদিও তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের দাবি, “এটা ভুল ব্যাখ্যা। লোকসভা নির্বাচনে কিছু সমীকরণের জন্য বিক্ষিপ্ত ভাবে কোথাও কোনও এগিয়ে বা পিছিয়ে থাকা হতে পারে। কিন্তু বিধানসভা ও পুরভোটে ওই ওয়ার্ডগুলি থেকে তৃণমূল বিপুল ব্যবধানে এগিয়ে থাকবে।”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)