E-Paper

ভোটার তালিকায় ‘গরমিল’, সিবিআই চাইলেন শুভেন্দু

গরমিলের তদন্তে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের এক সরকারি আধিকারিককে কমিশনের নিলম্বিত করার ঘটনাকে সামনে রেখে সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০২৫ ০৯:০৫
শুভেন্দু অধিকারী।

শুভেন্দু অধিকারী। —ফাইল চিত্র।

রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে ভোটার তালিকায় নানা গরমিলের অভিযোগ নিয়ে বিতর্ক সপ্তমে উঠেছে। গরমিলের তদন্তে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের এক সরকারি আধিকারিককে কমিশনের নিলম্বিত করার ঘটনাকে সামনে রেখে সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এখন থেকেই নির্বাচনের নির্দিষ্ট কার্যপ্রণালীতে (এসওপি) বদল চেয়ে সোমবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (সিইও) দফতরে গিয়ে ওই দাবি তুলেছেন শুভেন্দু। পাশাপাশি, অন্য রাজ্যের পুলিশদের এই রাজ্যে পদে বসিয়ে ভোট করানোর দাবিও তুলেছেন তিনি। পাল্টা সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসও।

বিরোধী দলনেতা এ দিন বিজেপির পরিষদীয় দলের কয়েক জন এবং দলের নেতা শিশির বাজোরিয়াকে সঙ্গে নিয়ে কমিশনে গিয়েছিলেন। শুভেন্দু বলেছেন, “কমিশনারের প্রতিনিধিকে জানিয়েছি, হাই কোর্টের নিযুক্ত কমিটির জমা দেওয়া রিপোর্টে পুলিশের ভূমিকার কথা রয়েছে। শমসেরগঞ্জ, ধুলিয়ানে (অশান্তিতে) মানুষ ৪৮ ঘণ্টা ধরে পুলিশকে ডেকেও সাড়া পাননি। এই পুলিশকে রেখে ২০২৬ সালের নির্বাচন করা যাবে না। ওসি, আইসি, এসআই শুধু নয়, সার্কেল ইনস্পেক্টর, এসডিপিও, ডিআইজি, আইজি, এসপি— পুরো চক্রটা পচে গিয়েছে।” এর পরেই তাঁর দাবি, “সাধারণত নির্বাচনের আগে ডিসেম্বর থেকে পুলিশের বদলি শুরু হয়। বাইরের রাজ্য থেকে পুলিশ এনে কিংবা কেন্দ্রীয় বাহিনী থেকে নিয়ে এসে পুলিশের ডিজি, এসপি, সিপি পদে বসাতে হবে। গণতন্ত্রের স্বার্থে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাইছি।”

সম্প্রতি কাকদ্বীপে প্রায় ছ’হাজার ভোটারের নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে অভিযোগ করেছিলেন তৃণমূল বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরা। তারই তদন্তে কাকদ্বীপের এক আধিকারিককে নিলম্বিত করা হয়েছে। সেই আধিকারিক আবার উপরতলার আধিকারিকেরা জড়িত বলে অভিযোগ দায়ের করেছেন। কলকাতা হাই কোর্টেও মামলা করেছেন তিনি। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করেই বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, “শুধু নিচু তলার আধিকারিকেরা দায়ী নন। বড় মাথা আছে। তৃণমূলের ভুয়ো ওবিসি শংসাপত্র নিয়ে যাঁরা বিডিও হয়েছেন, সাদা খাতা জমা দিয়ে যাঁরা পিএসসি পেয়েছেন তাঁরা, রাজ্যের বিসিএস-দের একাংশ তৃণমূলের উপদেষ্টা সংস্থাকে সঙ্গে নিয়ে এই কাজ করেছেন। এই কায়দায় ২০২১ ও ২০২৪ সালে ভোট লুট করেছে। নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রের। তাই সিবিআই-কে তদন্তভার দেওয়া হোক।”

মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (সিইও) দফতরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিজেপি নেতারা।

মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (সিইও) দফতরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিজেপি নেতারা। —নিজস্ব চিত্র।

যদিও শুভেন্দুর বক্তব্যে পাল্টা সরব হয়েছে তৃণমূল। দলের রাজ্য সাধারণ কুণাল ঘোষ বলেন, “পরাজয় নিশ্চিত জেনে অবাঞ্ছিত কথা বলছেন। অন্য রাজ্যের বাসিন্দাদের নাম এই রাজ্যের তালিকায় তৃণমূল ঢুকিয়েছে? কমিশনের নজরে (কাকদ্বীপের বিষয়টি) আমরাই এনেছি। বিএসএফের চোখের সামনে দিয়ে রোহিঙ্গারা ঢুকছে কী করে?” আর সিবিআই তদন্ত প্রসঙ্গে কুণালের বক্তব্য, “বিজেপির রাজ্য সভাপতির স্ত্রীর দু’জায়গায় নাম। শুভেন্দু হয়তো তারই তদন্ত চাইছেন!”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Election Commission CBI

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy