হাতির হানায় ভেঙেছে ঘর। —নিজস্ব চিত্র।
খাবারের সন্ধানে ডুয়ার্সের জঙ্গল থেকে চা বাগানের শ্রমিক মহল্লায় হামলা চালাল এক দলছুট দাঁতাল হাতি। কয়েক ঘণ্টার তাণ্ডবে মুহূর্তের মধ্যেই গুঁড়িয়ে গেল মহল্লার ৬টি ঘর। ট্র্যাক্টর নিয়ে হাতিটিকে তাড়া করে জঙ্গলমুখী করেন শ্রমিকেরা। এই ঘটনায় বাগানের চা শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্কে ছড়িয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার গভীর রাতে বানারহাট থানার অন্তর্গত মোরাঘাট জঙ্গল থেকে একটি দলছুট দাঁতাল হাতি ওই এলাকার চা বাগানের বরা লাইনে ঢুকে পড়ে। বাগানের শ্রমিকদের চিৎকার-চেঁচামেচিতে কোনও কাজ হয়নি। উল্টে তাঁদের ঘরবাড়ি গুঁড়িয়ে দেয় হাতিটি। হাতির হানায় বিমল গোয়ালা, বিনু ওঁরাও, প্রভা মুন্ডা এবং জানকী মুন্ডার ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হামলায় জানকীর ৩টি ঘর ভেঙে গুঁড়িয়ে গিয়েছে।
হাতির হামলার পর আশপাশের অন্যান্য চা শ্রমিক ছুটে আসেন। থালাবাসন বাজিয়ে চিৎকার করে প্রথমে হাতিটিকে তাড়ানোর চেষ্টা করা হয়। শেষমেশ ট্র্যাক্টর নিয়ে তাড়া করলে হাতিটি জঙ্গলের দিকে চলে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা আশিস লাকড়া বলেন, ‘‘রাতের অন্ধকারে একটি দলছুট বুনো দাঁতাল হাতি খাবারের সন্ধানে এলাকায় ঢুকে পড়ে। সে সময় আমরা বাড়ির বারান্দায় বসেছিলাম। আচমকাই দেখি, পাশের বাড়ির এক জনের রান্নাঘর ভাঙছে হাতিটি। সকলে মিলে চিৎকার শুরু করতে থাকলেও আরও ৫টি ঘর ভেঙ্গে দেয়। মোট ৪ জন শ্রমিকের ৬টি ঘর গুঁড়িয়ে দিয়েছে।’’
বন দফতরের কাছে হাতির হামলার খবর আসেনি বলে দাবি করেছেন বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণ শাখার রেঞ্জার শুভাশিস রায়। তিনি বলেন, মঙ্গলবার রাতে বনকর্মীরা অন্য এলাকায় হাতি তাড়াতে গেলেও মোরাঘাট চা বাগানে হাতির হানার কোনও রকম খবর আমাদের কাছে আসেনি। তবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো উপযুক্ত প্রমাণ দিয়ে আবেদন জানালে সরকারি নিয়ম মেনে ক্ষতিপূরণ পেতে পারে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy