মঙ্গলবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বিশেষ কোর্ট রুমে ইন্টারভিউয়ারদের সাক্ষ্যগ্রহণ চল সকাল সাড়ে এগারোটা থেকে দুপুর পর্যন্ত। ফাইল চিত্র।
তাঁদের দেওয়া নম্বরের ভিত্তিতেই চাকরি হয়েছে বহু চাকরিপ্রার্থীর। টেট পরীক্ষার অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট নেওয়া সেই পরীক্ষকদের একাংশ জানালেন, তাঁদের অনেকে জানতেনই না অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট কী ভাবে নিতে হয়। মঙ্গলবার এই পরীক্ষকদের কথা রুদ্ধদ্বারে শোনেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আইনজীবী সূত্রে খবর, সেই রুদ্ধদ্বার শুনানিতে পরীক্ষকেরা মেনে নিয়েছেন, অ্যাপ্টিটিউড পরীক্ষা অধিকাংশ ক্ষেত্রে পদ্ধতি মেনে হয়নি। এমনকি, কোনও কোনও ইন্টারভিউয়ার জানতেনই না পরীক্ষা নেওয়া হয় কোন পদ্ধতিতে।
২০১৬ সালের টেট পরীক্ষায় রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলে মোট ৪২ হাজার ৫০০ নিয়োগ হয়েছিল। সেই অ্যাপ্টিটিউট টেস্টের পদ্ধতি নিয়ে অভিযোগ করেছিলেন পরীক্ষার্থীদের একাংশ। এ ব্যাপারে হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন তাঁরা। হাই কোর্টের বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই ৩ জেলার তিরিশ জন ইন্টারভিউয়ারকে রুদ্ধদ্বার শুনানির জন্য ডেকে পাঠিয়েছিলেন। মঙ্গলবার সেই শুনানি হয় কলকাতা হাই কোর্টের সার্ধশতবার্ষিকী ভবনের ৯ তলায়। আইনজীবী সূত্রে খবর, বন্ধ ঘরে উপস্থিত ইন্টারভিউয়ারদের প্রথমেই বিচারপতি অভয় দিয়ে বলেন, ‘‘আপনাদের কোনও ভয় নেই। ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। যা সত্যি তা আমায় জানাবেন। তবে বিচারকক্ষের বাইরে এ নিয়ে কোনও কথা বলবেন না।’’ আইনজীবী সূত্রে খবর, এর পর প্রত্যেককে আলাদা করে ডেকে তাঁদের কথা শোনেন বিচারপতি। সেখানেই কেউ কেউ বিচারপতিকে জানান, পরীক্ষা নেওয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে অবহিত ছিলেন না তাঁরা।
মঙ্গলবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বিশেষ কোর্ট রুমে ইন্টারভিউয়ারদের সাক্ষ্যগ্রহণ চলে সকাল সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর পর্যন্ত। পরে আইনজীবী সূত্রে শুনানির নির্যাস জেনে মামলাকারী পরীক্ষার্থীদের আইনজীবীরা বলেন, ‘‘প্রাথমিকে নিয়োগের অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট সঠিক পদ্ধতিতে হয়নি বলে দাবি করেছিলাম। সেই দাবিই প্রতিষ্ঠিত হল।’’ আদালত সূত্রে খবর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২৪ ফেব্রুয়ারি। তবে সে দিন আর রুদ্ধদ্বার শুনানি নয়। নিজের এজলাসেই মামলাটি শুনবেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy