মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
পঞ্চায়েত ভোটের দিন নিহতদের পরিবারবর্গকে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার পাশাপাশি, হোমগার্ডের চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফল প্রায় পূর্ণাঙ্গ প্রকাশের পর নবান্নে আসেন তিনি। পায়ে আঘাত লাগার পর এই প্রথম নবান্নে এলেন মমতা। পঞ্চায়েত ভোটের সামগ্রিক ফলাফল ও ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন তিনি।
সংবাদিক বৈঠকেই নিহতদের পরিবারদের জন্য ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘ভোট-হিংসায় যাঁদের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের সকলের পরিবারের জন্য দুঃখিত। আমি সমব্যথী। পুলিশকে ফ্রিহ্যান্ড দিচ্ছি। উপযুক্ত পদক্ষেপ করুন। আমরা দু’লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য করছি। ভোট হিংসায় ১৯ জন মৃত। তার মধ্যে ১০-১২ জন আমাদেরই। ভোটের দিন সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে চার জন তৃণমূলের। বাকি তিন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মী বা সমর্থক। আর্থিক সাহায্যের ক্ষেত্রে সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি কোনও ভেদাভেদ হবে না।” তিনি আরও বলেন, ‘‘ভোট হয়েছে ৭১ হাজার বুথে৷ আর গন্ডগোল হয়েছে সাতটা বুথে৷ যাঁরা মারা গিয়েছেন তাঁদের জন্য আমি দুঃখিত৷ মৃতদের পরিবারকে আমরা দু’লক্ষ টাকা করে দেব৷ হোমগার্ডের চাকরিও দেওয়া হবে৷’’
মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পর পাল্টা দাবি তোলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু। তাঁর দাবি, ভোট ঘোষণার পর থেকে যে সব প্রাণহানি হয়েছে, তাদের সকলের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য ও চাকরি দিতে হবে। শুভেন্দু বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩৫ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী ১৯ জন মানুষের মৃত্যুর কথা বলেছেন। এবং তাঁদের পরিবারকেই আর্থিক সাহায্য ও চাকরি দেওয়ার কথা বলেছেন। তা হলে কি ধরে নিতে হবে মুখ্যমন্ত্রী যাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলেছেন, সেই তালিকা তাঁর দল তৃণমূল তৈরি করে দেবে?’’ তাঁর আরও দাবি, ‘‘দু’লক্ষ টাকা কোনও ক্ষতিপূরণের অঙ্ক হতে পারে না। আমাদের দাবি নিহতদের পরিবারকে কমপক্ষে ৫০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy