আগামী বছর শতবর্ষ পূর্ণ করবে আরএসএস। তার আগে দলের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ও প্রশিক্ষণের বিষয়বস্তু পাল্টানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। সংখ্যালঘুরাও ধীরে ধীরে তাদের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন বলে সংগঠনের তরফে দাবি করা হয়েছে।
আজ থেকে নাগপুরে শুরু হয়েছে আরএসএসের তিন দিনের বার্ষিক অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভা। চলবে আগামী রবিবার পর্যন্ত। আজ আলোচনাসভার শুরুতে সাংবাদিক সম্মেলনে বর্ষীয়ান নেতা মনমোহন বৈদ্য বলেন, ‘‘রোজ শাখাতে নতুন ভর্তির সংখ্যা বাড়ছে। প্রতি বছর প্রায় এক লক্ষ ব্যক্তি শাখায় অংশ নেওয়ার আবেদন করছেন। এমনকি সমাজে যাঁরা সংখ্যালঘু বলে পরিচিত, তাঁরাও যুক্ত হচ্ছেন।’’
কেন সংখ্যালঘুরা শাখা সম্পর্কে আগ্রহ দেখাচ্ছেন তার ব্যাখ্যায় বৈদ্য বলেন, ‘‘ভারতের ১৪০ কোটি মানুষই হিন্দু। কারণ তাঁদের পূর্বপুরুষেরা সকলেই হিন্দু ছিলেন। ধীরে ধীরে সংখ্যালঘু সমাজের মনে আরএসএস সম্পর্কে থাকা ভুল ভাঙছে। ফলে তাঁরা কাছে আসছেন।’’ শাখায় নতুন যোগদানকারীদের জন্য প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ও বিষয়বস্তুতে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। আগামী বছর আরএসএসের একশো বছর পূর্ণ হচ্ছে। তার আগে দেশে শাখার সংখ্যা এক লক্ষ করার লক্ষ্য নিয়েছে সঙ্ঘ।
ছ’বছর পরে আরএসএসের বার্ষিক সভা আবার নাগপুরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তাদের বিভিন্ন শাখা সংগঠনের ১৫২৯ জন প্রতিনিধির এখানে যোগ দেওয়ার কথা। আসার কথা বিজেপি সভাপতি জে পি নড্ডারও। সম্মেলনে রামমন্দির নির্মাণ নিয়ে একটি প্রস্তাব পাশ করাবে সঙ্ঘ। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে সম্প্রতি আলোড়ন ফেলা সন্দেশখালি, মণিপুর, কৃষক বিক্ষোভের মতো বিষয় নিয়েও আলোচনার কথা রয়েছে। আগামিকাল লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা হবে। মনমোহন বৈদ্য বলেন, ‘‘আরএসএসের কর্মীরা যাতে বেশি সংখ্যায় ভোট দেন, সেই আবেদন করা হবে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)