কয়েক বছর ধরে ক্রমান্বয়ে আয় বাড়ছে আবগারি শুল্কে। চলতি আর্থিক বছরে সেই আয় আরও বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকদের অনেকে। এখনও পর্যন্ত ওই খাতে রাজস্বের যে গতি রয়েছে, তাতে বছরের শেষে ১৯ হাজার কোটি টাকার আশেপাশে পৌঁছে যেতে পারে বলে অনুমান। অর্থ দফতর কর্তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, আবগারি খাতে চলতি আর্থিক বছরে (২০২৩-২৪) এপ্রিল থেকে শুরু হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত প্রায় ছ’হাজার কোটি টাকা রাজস্ব লাভ হয়েছে। উৎসবের মরসুম প্রায় শুরু হয়ে গিয়েছে। তাতে আরও বিক্রি বাড়বে। প্রশাসনিক কর্তাদের অনেকেই মনে করছেন, সব মিলিয়ে আগামী মার্চের শেষে আবগারি খাতে রাজস্ব আয় ১৯ হাজার কোটি টাকা ছাড়াতে পারে। মদ শিল্প মহলের খবর, এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মদ বিক্রির ক্ষেত্রে সব থেকে এগিয়ে আছে বিয়ার। দেশি মদের বিক্রিও আগের থেকে বেড়েছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, ২০১৪-১৫ আর্থিক বছরে আবগারিতে রাজ্যের রাজস্ব আদায় হয়েছিল প্রায় ৩৫৮৭ কোটি টাকা। প্রতি বছর সেই রাজস্ব কমবেশি ২১% করে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২১-২২ অর্থবর্ষে পৌঁছেছিল ১৩,৫৪৩ কোটি টাকায়। গত আর্থিক বছর অর্থাৎ, ২০২২-২৩ সালের বাজেট (সংশোধিত) নথি অনুযায়ী সেই রাজস্ব হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা। চলতি আর্থিক বছরের বাজেটে সেই রাজস্ব প্রায় ১৭,৯২১ কোটি টাকায় পৌঁছতে পারে বলে ধরে রাখা হয়েছিল। সেই লক্ষ্যমাত্রা ছাপিয়ে যেতে পারে বলে আশা করছেন আবগারি কর্তাদের অনেকে।
মানুষের মদ খাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে বলেই আবগারি খাতে আয় বেড়েছে, এ কথা মানছেন না রাজ্যের অর্থ দফতরের কর্তারা। তাঁরা বলছেন, মদ বিক্রেতা মহলের সমীক্ষা অনুযায়ী বছরে মদ কেনার বৃদ্ধির হার বছরে ৪ থেকে ৫ শতাংশ। বরং আবগারি ব্যবস্থাপনাকে অনলাইন মাধ্যমে নিয়ে আসার ফলেই রাজস্ব বেড়েছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)