Advertisement
০২ মে ২০২৪
NIA attacked in Bhupatinagar

সন্ত্রাস-জুলুমের অভিযোগ উঠছে মনোব্রত, বলাইদের বিরুদ্ধে

এনআইএর হাতে ধৃত মনোব্রত ও বলাইকে নিরপরাধ বলে দাবি করে গ্রামের তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন। বিক্ষোভে এনআইএ-র হাতে আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগও উঠেছে।

—ফাইল ছবি।

কেশব মান্না
ভূপতিনগর শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০২৪ ০৮:০৬
Share: Save:

পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরের নাড়ুয়াবিলায় বিস্ফোরণে এনআইএ-র হাতে ধৃত তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি বলাই মাইতি এবং বুথ সভাপতি মনোব্রত জানার বিরুদ্ধে অন্য অভিযোগও উঠে আসছে। বিরোধী দলের কর্মীদের মারধর, খুন থেকে চাষজমি দখল— সেই তালিকা নেহাত ছোট নয়।

এনআইএর হাতে ধৃত মনোব্রত ও বলাইকে নিরপরাধ বলে দাবি করে গ্রামের তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন। বিক্ষোভে এনআইএ-র হাতে আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগও উঠেছে। যদিও, এলাকায় কান পাতলে এই নেতাদের বিরুদ্ধে শোনা যাচ্ছে নালিশনামা।

অর্জুননগরের নাড়ুয়াবিলা গ্রামের বাসিন্দা মনোব্রত। ২০২২ সালের ২ ডিসেম্বর বিস্ফোরণে তৃণমূলের তৎকালীন বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্নার মৃত্যুর পরে তিনি ওই পদ পান। বলাই দীর্ঘদিন সেখানকার অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি। দু’জনের যথেষ্ট প্রভাব এলাকায়। কালিকাদাঁড়ি গ্রামের লালমোহন আদকের নালিশ, “১৯৯৯ সালের ২৩ অগস্ট আমার বাবাকে খুন করা হয়। তাতে বলাই মাইতি-সহ অনেকে জড়িত।” ওই খুনের মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ এবং বিচার প্রক্রিয়া কাঁথি মহকুমা কোর্টে শুরু হয়েছে। বলাইয়ের বিরুদ্ধে গত পঞ্চায়েত ভোটে বন্দুক হাতে দাপানোর ছবি প্রকাশ্যে এনেছেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। উত্তর কাঁথি বিধানসভার বিজেপি কর্মী জন্মেজয় দোলুই খুনের মামলায় জড়িয়েছে তাঁর নাম। বলাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে নোটিস পাঠিয়েছে সিবিআই-ও।

মনোব্রতের পাড়ায় প্রায় সবাই তৃণমূল সমর্থক। কিছুটা দূরে বিরোধী সমর্থকও রয়েছেন কিছু। মনোব্রতের পড়শি এক মহিলার অভিযোগ, “ওরা সাঙ্ঘাতিক লোক। ওদের বিরুদ্ধে লোকে মুখ খোলার সাহস পায় না। মনোব্রত মহিলাদের সঙ্গেও কুরুচিকর আচরণ করে। সন্ধের পরে গোটা পাড়া বদলে যায়। সবাই ভয়ে থাকে।” মনোব্রতের বাড়ির সামনে ঢালাই রাস্তা যেখানে শেষ, সেখানে কয়েকটি পরিবারের বাস। তাঁদেরই এক জন বলেন, “এলাকায় জমিদারদের খাসজমি প্রচুর। বাম জমানায় যাঁদের পাট্টা দেওয়া হয়েছিল, পরে তা কেড়ে নেওয়া হয়। অনেককে জমিতে চাষও করতে দেওয়া হয়নি। মনোব্রত আর ওর মতো আরও যারা বর্তমানে শাসক দলের নেতা, তারাই এ সবে যুক্ত।”

সন্দেশখালির শাহজাহান বাহিনীর সঙ্গে এ সবের মিল পাচ্ছেন অনেকে। বিজেপির মণ্ডল সভাপতি তপন মিদ্যার দাবি, “বরজ আর অর্জুননগরে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। বলাই, মনোব্রত-সহ যাদের এনআইএ নোটিস পাঠিয়েছে, তারা প্রত্যেকে কুখ্যাত দুষ্কৃতী। মানুষকে দীর্ঘ দিন অত্যাচার করছে। থানা না নেওয়ায় কোর্টে বা অনলাইনে অভিযোগ করতে হয়েছে।”

যদিও ভগবানপুর-২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি অম্বিকেশ মান্না বলছেন, “সবটাই বিজেপির সাজানো। কোনও প্রমাণ দেখাতে পারবে না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

NIA TMC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE