প্রতীকী ছবি।
আধারের ক্ষেত্রে শিশুদের বায়োমেট্রিক সংক্রান্ত তথ্য নথিভুক্ত করার বয়স পাঁচ থেকে নামিয়ে তিন করার প্রস্তাব নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে, তিন দিনের একটি কনফারেন্স শেষে এমনটাই জানালেন আধার কর্তৃপক্ষ। ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথোরিটি অব ইন্ডিয়া (ইউআইডিএআই)-র সিইও সৌরভ গর্গের বক্তব্য, ‘‘এখন পাঁচ বছরে পৌঁছলেই শিশুদের বায়োমেট্রিক নথিভুক্ত করা হচ্ছে, তবে বিশেষজ্ঞদের প্যানেল প্রশ্ন তোলেন যে তিন বছর বয়সেই তা করা যাচ্ছে না কেন? কারণ তিন বছরের পর থেকে আঙুলের ছাপে খুব একটা পরিবর্তন হয় না বলেই গবেষণায় দেখা গিয়েছে।’’
বর্তমান নিয়মে, জন্মের পরেই একটি আধার নম্বর পায় শিশুরা। যার সঙ্গে যুক্ত করা থাকে তার বাবা-মায়ের আধার কার্ড। তবে শিশুটি পাঁচ বছরে পৌঁছলেই তার বায়োমেট্রিক তথ্য জমা দেওয়া যায়। ১৫ বছরে গিয়ে তা আবার আপডেট করাতে হয়। তবে বৃহস্পতিবার শেষ হওয়া ওই কনফারেন্সে মিশিগান স্টেট ইউনির্ভাসিটির অধ্যাপক অনিল কে জৈন শিশুদের আধারের বায়োমেট্রিক নথিভুক্তিকরণের বয়স কমানোর পক্ষে সওয়াল করেন। তাঁর মতে, দেশে শিশুদের নিখোঁজ হওয়ার হার বাড়ছে, এই সমস্যার সমাধানে শিশুদের বায়োমেট্রিক তথ্য বিশেষ কাজে লাগতে পারে। শিশুদের প্রতিষেধক সংক্রান্ত তথ্য বা সরকারি প্রকল্পের সুবিধা কোন কোন শিশু পাচ্ছে, এ সব কিছুর নির্ধারণের ক্ষেত্রেও সুবিধা হবে।
জৈনের কথায়, ‘‘আধার কর্তৃপক্ষের কাছে জিজ্ঞেস করেছিলাম, বায়োমেট্রিকের জন্য পাঁচ বছর বয়স নির্ধারণ করার পিছনে কারণ কী? আমাকে বলা হল, এই বয়সে শিশুরা নির্দেশ পালন করতে পারে ফলে ছবি তোলার জন্য কোথায় দাঁড়াতে হবে বা চোখের মণির ছবি কী ভাবে তুলবে সেগুলি বললে তারা সহজে বোঝে।’’ কিন্ত এই যুক্তির পরিবর্তে আমেরিকার সেন্টার্স ফর ডিজ়িজ় কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)-এর উদাহরণ দেন জৈন। এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠিত মাপকাঠি অনুযায়ী, তিন বছর থেকেই সাধারণ নির্দেশ বুঝতে এবং পালন করতে পারে শিশুরা। ফলে এ বিষয়টি বাধা হয়ে দাঁড়াবে না। আগামী দিনে শিশুদের বায়োমেট্রিকের বয়স কমানো নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কি হয়, এখন সে দিকে তাকিয়ে সকলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy