Advertisement
১১ মে ২০২৪
TMC

শুভেন্দুকে জবাব দেবে নন্দীগ্রাম, তোপ সুফিয়ানের, রুখবে বিজেপি, পাল্টা প্রলয়

২ মে রাজ্যের বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণার পরেও,  নন্দীগ্রামে তৃণমূল এবং বিজেপি-র সেই রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা তাজা।

শুভেন্দু অধিকারী ও শেখ সুফিয়ান।

শুভেন্দু অধিকারী ও শেখ সুফিয়ান। —ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
নন্দীগ্রাম শেষ আপডেট: ১১ মে ২০২১ ১৫:০৮
Share: Save:

রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ‘স্বাগত জানাচ্ছে না’ তাঁর নিজের কেন্দ্র নন্দীগ্রাম। নিজভূমে পা রাখলে তাঁকে পড়তে হবে ‘প্রবল বিরোধিতা’র মুখে। মঙ্গলবার এই ভাষাতেই হুঁশিয়ারি দিলেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা তথা নীলবাড়ির লড়াইয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী এজেন্ট শেখ সুফিয়ান। তাঁর হুঙ্কার শুনে বিজেপি-র তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি প্রলয় পালের চ্যালেঞ্জ, ‘‘এলাকার বিধায়ক নিজের এলাকায় আসবেনই। যখন সময় হবে তখন আসবেন।’’

একই কেন্দ্রের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ভোট মিটতেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং বিরোধী দলনেতা। ২ মে রাজ্যের বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণার পরেও, নন্দীগ্রামে তৃণমূল এবং বিজেপি-র সেই রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা তাজা। নন্দীগ্রামের জমি আন্দোলনের অন্যতম নেতা সুফিয়ানের হুঙ্কার, ‘‘নন্দীগ্রামে এলে প্রবল বিরোধিতার মুখে পড়তে হবে সদ্য নির্বাচিত বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীকে।’’ কেন? জবাবে সুফিয়ান বলছেন, ‘‘উনি (শুভেন্দু অধিকারী) নন্দীগ্রামের মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। নির্বাচনী প্রচারে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেছেন। তার যোগ্য জবাব দেওয়ার জন্য এলাকার মানুষ তৈরি।’’ একইসঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, ‘‘শুভেন্দু এলাকার কোন উন্নয়নটা করবেন? উনি তো নন্দীগ্রামের মানুষের সর্বনাশ করেছেন। এলাকার মানুষের মধ্যে বিভেদ করার চেষ্টা করেছেন প্রতিনিয়ত। উনি এলাকায় এলে অশান্তি হবেই। তাই শুভেন্দুকে স্বাগত জানানোর কোনও জায়গা নেই নন্দীগ্রামে।’’

সুফিয়ানের হুঙ্কার শুনে জবাব দিয়েছে বিজেপি-ও। গেরুয়া শিবিরের নেতা প্রলয়ের পাল্টা তোপ, ‘‘উনি (শুভেন্দু অধিকারী) এলাকার বিধায়ক। তাই নিজের এলাকায় আসবেনই। যখন সময় হবে তখনই আসবেন। এই মুহূর্তে তিনি গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যস্ত। তবে খুব শীঘ্রই নিজের এলাকায় আসবেন। তাঁকে প্রতিহত করার চেষ্টা হলে বিজেপি-ও সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপাবে। নন্দীগ্রাম কারও পৈতৃক সম্পত্তি নয়। তিনি নির্বাচিত প্রতিনিধি। নিজের এলাকার মানুষের কাছে আসবেন এটাই সংবিধানের নিয়ম।’’

জোড়াফুল শিবিরকে আক্রমণ করে প্রলয়ের অভিযোগ, ‘‘নন্দীগ্রামে তৃণমূলের ভরাডুবি হয়েছে। ফল বেরনোর পর, নন্দীগ্রাম জুড়ে বিজেপি-র নেতা-কর্মীদের বাড়িতে বেছে বেছে হামলা এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। অনেকেই ঘরছাড়া হয়ে গিয়েছিলেন প্রাণের ভয়ে। তবে প্রশাসনের সহযোগিতায় সকলেই ধীরে ধীরে বাড়ি ফিরছেন।” তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে পুলিশ এবং প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে অকুণ্ঠ প্রশংসা শোনা গিয়েছে প্রলয়ের গলায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

BJP TMC Nandigram
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE