Advertisement
E-Paper

জীবনবিজ্ঞানের পাঠ দিলেন জীবন! জেলমুক্তির পর স্কুলে গিয়ে ‘মাছের শ্বসন প্রক্রিয়া’ বোঝালেন তৃণমূল বিধায়ক

পড়ানোর কথা ছিল ফরাসি বিপ্লব, উপনিবেশবাদ বা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ! কিন্তু এক বছরেরও বেশি সময় পরে স্কুলে গিয়ে ইতিহাস ছেড়ে জীবনবিজ্ঞান পড়াতে হল সদ্য জামিনে মুক্ত জীবনকৃষ্ণ সাহাকে!

প্রণয় ঘোষ

শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০২৪ ১৭:১৮
স্কুলে জীবনবিজ্ঞান পড়ালেন জীবনকৃষ্ণ সাহা।

স্কুলে জীবনবিজ্ঞান পড়ালেন জীবনকৃষ্ণ সাহা। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

পড়ানোর কথা ছিল ফরাসি বিপ্লব, উপনিবেশবাদ বা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ! কিন্তু এক বছরেরও বেশি সময় পরে স্কুলে গিয়ে ইতিহাস ছেড়ে জীবনবিজ্ঞান পড়াতে হল নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সদ্য জামিনে মুক্ত জীবনকৃষ্ণ সাহাকে! জেলমুক্তির পর প্রথম বার স্কুলে গিয়ে ‘মাছের শ্বসন প্রক্রিয়া’ নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের পাঠ দিলেন তৃণমূল বিধায়ক। এত দিন পরে আবার শিক্ষকতার পেশায় যোগ দেওয়া নিয়ে আনন্দবাজার অনলাইনকে তিনি বলেন, ‘‘শিক্ষকতা আমার প্রথম কর্মক্ষেত্র। নিজের জায়গায় ফিরতে পেরে খুব ভাল লাগছে। বিচারাধীন মামলার বিষয়ে আমি কিছু বলব না। তবে আমি যে দোষী নই, প্রাথমিক ভাবে সেটা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে।’’

স্কুলে পড়াচ্ছেন জীবনকৃষ্ণ।

স্কুলে পড়াচ্ছেন জীবনকৃষ্ণ। —নিজস্ব চিত্র।

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন জীবন। মামলায় তাঁর নাম জড়ানো নিয়ে যতটা না হইচই হয়েছিল, তার চেয়ে অনেক বেশি শোরগোল হয় সিবিআই তল্লাশির সময় তাঁর বিরুদ্ধে নিজের ফোন পুকুরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে।তথ্যপ্রমাণ নষ্টের অভিযোগ উঠেছিল জীবনের বিরুদ্ধে। প্রায় এক বছর জেলেও ছিলেন। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে জামিনে মুক্তি দিয়েছে। বড়ঞায় নিজের গ্রামের বাড়িতে ফিরে এসেছেন বিধায়ক। স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে মঙ্গলবার স্কুলেও গেলেন তিনি। গরু পাচার মামলায় ধৃত তৃণমূলের অনুব্রত মণ্ডলের জেলা বীরভূমের দেবগ্রাম হাই স্কুলে সহকারী শিক্ষক পদে রয়েছেন জীবন। তাঁর বাড়ি থেকে সেই স্কুলের দূরত্ব প্রায় ২০ কিলোমিটার। মঙ্গলবার নিজের বাইক চালিয়ে স্কুলে যান বিধায়ক। পরনে ছিল সাদা জামা, নীল ট্রাউজ়ার্স।

স্কুল সূত্রে খবর, জীবন এমনিতে ইতিহাস পড়ান। কিন্তু জীবনবিজ্ঞানের শিক্ষক না-আসায় তাঁকে জীবনবিজ্ঞান পড়াতে হয়েছে। এত দিন পর তাঁকে ক্লাসে দেখে পড়ুয়ারাও উচ্ছ্বসিত ছিল বলেই জানাচ্ছেন স্কুলের অন্য শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা। বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক কমলকৃষ্ণ ঘোষ বলেন, ‘‘বিদ্যালয়ের এক জন শিক্ষক অনুপস্থিত থাকলে ছাত্রছাত্রীদের পঠনপাঠনে অনেক অসুবিধা হয়। জীবনবাবু কাজে যোগ দেওয়ায় সমস্যা অনেকটাই মিটবে। উনি ফিরে আসায় আমরা খুশি।’’ জীবনও বলেন, ‘‘আমি যদি সত্যি সত্যিই অপরাধী হতাম, আমাকে পেয়ে ছাত্রছাত্রীদের এই উচ্ছ্বাস থাকত না। আমার সহকর্মীরাও আমাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছেন।’’

Jiban Krishna Saha
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy