E-Paper

বদলি হচ্ছেন বিডিও, তাঁকে সংবর্ধনা জানানো হচ্ছে, সেই অনুষ্ঠানেই কেঁদে ভাসালেন বিধায়ক!

বিধায়কের ওই অবস্থায় খানিকটা অস্বস্তিতে পড়েন বিডিও। তিনি বিধায়ককে সান্ত্বনা দেন। তবে বিদায়ী লগ্নে সহকর্মীদের ছেড়ে যাওয়া নিয়ে খানিক আবেগঘন হয়ে পড়েন বিডিও-ও।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২৩ ০৭:৪৩
কাঁদছেন বিধায়ক। পাশেই রয়েছেন বিডিও।

কাঁদছেন বিধায়ক। পাশেই রয়েছেন বিডিও। —নিজস্ব চিত্র।

বদলি হচ্ছেন বিডিও। শেষবেলায় তাঁকে সংবর্ধনা জানানো হচ্ছে প্রশাসনিক ভাবে। সেই অনুষ্ঠানেই চোখের জল মুছতে দেখা গেল বিধায়ককে। ‘দাপুটে’ বিডিও-র এই বদলিতে আবেগঘন হয়ে পড়লেন তিনি। আর তাতে অস্বস্তিতে খোদ বিডিও!

সরকারি নির্দেশে কয়েক দিন আগে বদলি হয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের অধিকাংশ বিডিও। সেই তালিকায় রয়েছেন নন্দকুমারের বিডিও শানু বক্সী। পুজোর কয়েক দিন অন্য বদলি হওয়া বিডিওদের তিনি এলাকাতে থেকেই কাজ সামলে ছিলেন। তবে মঙ্গলবার বিকেলে ছিল তাঁর বিদায় সংবর্ধনা। সেই অনুষ্ঠানেই কাঁদতে দেখা গিয়েছে শাসকদলের বিধায়ক সুকুমার দে-কে। তিনি বলেছেন, ‘‘করোনার সময় উনি এলাকায় বিডিও হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দাপটের সঙ্গে তিনি সে সময় মানুষকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন, এটা বিরল। এত সাধারণ ভাবে মানুষের সঙ্গে মিশেছেন, ঘরোয়া পরিবেশে থেকেছেন। এটা মানুষের মনের মধ্যে দাগ কেটেছে।’’

বিধায়কের ওই অবস্থায় খানিকটা অস্বস্তিতে পড়েন বিডিও। তিনি বিধায়ককে সান্ত্বনা দেন। তবে বিদায়ী লগ্নে সহকর্মীদের ছেড়ে যাওয়া নিয়ে খানিক আবেগঘন হয়ে পড়েন বিডিও-ও। শানু বক্সী বলেন, ‘‘অফিসটাকে কখনও অফিস মনে করিনি। বাড়ি মনে করেছিলাম। আর মানুষগুলিকে পরিবারের একজন। পরিবারের সঙ্গে যে ভাবে মিলেমিশে আমরা থাকি সকলে, সে ভাবে থাকার চেষ্টা করেছিলাম। ব্লককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া শুধু একার পক্ষে সম্ভব হত না। আজকে এই দল ছেড়ে যেতে হচ্ছে। আমার কষ্ট হচ্ছে যে, দলের সব সদস্যকে আমি ছেড়ে যাচ্ছি।’’

গোটা ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বিজেপি-সিপিএম। বিজেপি নেতা প্রদীপ দাস বলেছেন, ‘‘নন্দকুমারের বিধায়ক বিডিওকেই দিয়ে এত দিন তোলাবাজি করেছেন। কাটমানি খেয়েছেন। নতুন যে আসবে তাঁকে দিয়ে হয়তো ওঁর সেই সমস্ত কাজ আর করাতে পারবেন না, তাই কান্নাকাটি করছেন।’’ আর সিপিএমের জেলা নেতা পরিতোষ পট্টনায়ক বলেছেন, ‘‘ওই তৃণমূল বিধায়ক ওই বিডিওকে দিয়ে শীতলপুর পশ্চিম গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের দিন অঞ্চল অফিসের ভেতর থেকে সিপিএম সদস্যকে গ্রেফতার করিয়েছিলেন। ফলে সেই বিডিওর বদলিতে বিধায়ক তো চোখের জল ফেলবেনই।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

East Midnapore TMC MLA TMC MLA BDO

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy