Advertisement
E-Paper

যে বাড়ির সামনে দাঁড় করিয়ে তোলা হয়েছিল ছবি, সেখানেই এখন তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়

২০১৮-১৯ সালে বাড়ি তৈরির প্রকল্পে এক লক্ষ ২০ হাজার টাকা অনুদান পান জামালপুরের কাঠুরিয়া গ্রামের শঙ্কর মাঝি। অভিযোগ, তৈরির পর থেকেই বাড়িটি স্থানীয় তৃণমূল নেতা-কর্মীদের দখলে রয়েছে।

সৌমেন দত্ত

শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২২ ০৬:১৭
বাঁ দিকে, নীল-সাদা এই বাড়ি এখন তৃণমূলের কার্যালয় বলে অভিযোগ। ডান দিকে, বাঁধের ধারের বাড়ি। নিজস্ব চিত্র

বাঁ দিকে, নীল-সাদা এই বাড়ি এখন তৃণমূলের কার্যালয় বলে অভিযোগ। ডান দিকে, বাঁধের ধারের বাড়ি। নিজস্ব চিত্র

উপভোক্তার নামে সরকারি প্রকল্পে বাড়ি বরাদ্দ হয়েছিল। ঘর তৈরির পরে উপভোক্তাকে সামনে দাঁড় করিয়ে ছবিও তোলা হয়েছিল। কিন্তু তার পরে আর সে ঘরে ঠাঁই হয়নি তাঁর। সেখানে চলছে তৃণমূলের কার্যালয়। উপভোক্তার পরিবার বাস করছেন দামোদরের বাঁধে অ্যাসবেস্টসের ছাউনির ঘরে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ি নিয়ে এমনই অভিযোগ উঠল পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে।

২০১৮-১৯ সালে বাড়ি তৈরির প্রকল্পে এক লক্ষ ২০ হাজার টাকা অনুদান পান জামালপুরের কাঠুরিয়া গ্রামের শঙ্কর মাঝি। অভিযোগ, তৈরির পর থেকেই বাড়িটি স্থানীয় তৃণমূল নেতা-কর্মীদের দখলে রয়েছে। নীল-সাদা রং করে সেটির নাম রাখা হয়েছে ‘উন্নয়ন ভবন’। ঘরে রয়েছে টিভি, মুখ্যমন্ত্রীর ছবি ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতার স্মারক। সেখান থেকেই এলাকায় তৃণমূলের কার্যকলাপ চলে বলে স্থানীয় সূত্রের দাবি।

সেই বিতর্কিত ঘর। নিজস্ব চিত্র।

সেই বিতর্কিত ঘর। নিজস্ব চিত্র।

বছরখানেক আগে শঙ্করের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাতনি পূজা মাঝির অভিযোগ, “বাড়িটি তৈরির পরে আমরা ঢুকতেই পারিনি। ওটা তৃণমূলের অফিস বলে সবাই জানে। তার বদলে বাঁধের ধারে একটি ঘর করে আমাদের থাকতে দিয়েছে।’’ বাঁধে সেই ঘরের গায়ে লেখা হয়েছে ‘বাংলার আবাস যোজনা’। সেচ দফতরের জায়গায় সরকারি প্রকল্পে অস্থায়ী আচ্ছাদনের এই বাড়ি কী ভাবে তৈরি করা হল, প্রশ্ন সে নিয়েও।

স্থানীয় তৃণমূল নেতা রামরঞ্জন সাঁতরার দাবি, “আমাদের দলের অফিস পঞ্চায়েতের কর্তারা অন্যায় ভাবে আবাস যোজনার ঘর বলে দেখিয়েছিলেন।’’ জামালপুর ২ পঞ্চায়েত যদিও তা মানতে চায়নি। জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূলের ভূতনাথ মালিকের বক্তব্য, “যাঁরা এমন অন্যায় কাজ করেছেন, তাঁদেরই দায়িত্ব নিতে হবে।’’

বিডিও (জামালপুর) শুভঙ্কর মজুমদার বলেন, “পাকা বাড়িটি শঙ্কর মাঝির। পুলিশকে পুরো বিষয়টি তদন্ত করতে বলছি। জেলা স্তরে রিপোর্ট পাঠানো হবে।’’

Pradhan Mantri Awas Yojana TMC Bardhaman
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy