Advertisement
E-Paper

দিদিকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চাইছে দল

মোদী মেদিনীপুরের যে মাঠে সভা করেছিলেন, সেই মাঠেই সভা করে সাংসদ তথা তৃণমূল যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শনিবার জানালেন, এ রাজ্যে মানুষের সিন্ডিকেট আছে। সেই সিন্ডিকেট উন্নয়ন আর শান্তির। এবং তারাই বিজেপিকে হারাবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০১৮ ০৩:০৭
পাল্টা: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পাল্টা সভায় তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। শনিবার মেদিনীপুর কলেজ-কলেজিয়েট স্কুলের মাঠে। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল

পাল্টা: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পাল্টা সভায় তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। শনিবার মেদিনীপুর কলেজ-কলেজিয়েট স্কুলের মাঠে। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নরেন্দ্র মোদীর সিন্ডিকেট কটাক্ষকে ‘অস্ত্র’ করে বিজেপিকে বার্তা দিল তৃণমূল। মোদী মেদিনীপুরের যে মাঠে সভা করেছিলেন, সেই মাঠেই সভা করে সাংসদ তথা তৃণমূল যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শনিবার জানালেন, এ রাজ্যে মানুষের সিন্ডিকেট আছে। সেই সিন্ডিকেট উন্নয়ন আর শান্তির। এবং তারাই বিজেপিকে হারাবে। সভায় মমতাকে প্রধানমন্ত্রী করার ডাক দিয়ে মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘দিদির বিকল্প নেই।’’ বিজেপির পাশাপাশি এ দিনের সভায় সিপিএমকেও আক্রমণ করেন তৃণমূল নেতারা। তবে কংগ্রেস সম্পর্কে কোনও বিরূপ কথা এ দিনের মঞ্চ থেকে শোনা যায়নি।

মেদিনীপুর কলেজ-কলেজিয়েট স্কুলের মাঠে এ দিনের সভায় তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখেই দেশে বিরোধী জোট হবে।” আর এক ধাপ এগিয়ে শুভেন্দু বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু বাংলার নেত্রী নন, বিশ্ববন্দিত নেত্রী। আমরা বাঙালি প্রধানমন্ত্রী চাই। দিদিকে প্রধানমন্ত্রী করতে হবে।’’ বক্তৃতা করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, মানস ভুঁইয়াও।

একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপি বিরোধী জোট গড়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন মমতাই। জানুয়ারিতে সব বিরোধী দলকে নিয়ে ব্রিগেড সমাবেশের দিনও ঘোষণা করেছেন তিনি। সেই সুর আরও চড়িয়ে মমতাকে প্রধানমন্ত্রী করার যে ঘোষণা এ দিনের সভা থেকে করা হল, তা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যদিও মমতার রণনীতি অনুযায়ী, এই রাজ্যে তৃণমূল যে একাই লড়বে, এ দিনও তা বুঝিয়ে দিয়ে তৃণমূল নেতাদের ঘোষণা, ‘‘আমাদের লক্ষ্য ৪২-এ ৪২। মূল মন্ত্র: ২০১৯, বিজেপি ফিনিশ।’’

গত ১৬ জুলাই মেদিনীপুরের এই মাঠেই সিন্ডিকেট ও তোলাবাজি নিয়ে তৃণমূলকে মোদী যে কটাক্ষ করে গিয়েছিলেন, এ দিন তারও জবাব দেন দলের শীর্ষ নেতারা। অভিষেক বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তৃণমূল সিন্ডিকেট তৈরি করেছে। হ্যাঁ, তৃণমূল মানুষের সিন্ডিকেট করেছে। মানুষকে লড়াই করার মানসিকতা জুগিয়েছে। ৩৪ বছরের বাম দুঃশাসনকে দূর করার সিন্ডিকেট তৃণমূল করেছে। যেখানে মাওবাদীদের দাপাদাপি ছিল, সেই জঙ্গলমহলে সন্ত্রাস মিটিয়ে দিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করার সিন্ডিকেট তৃণমূল করেছে। দার্জিলিঙে শান্তি প্রতিষ্ঠা করার সিন্ডিকেট তৃণমূল করেছে। আমাদের সিন্ডিকেট-এর নাম, ‘বিজেপি ভারত ছাড়ো’ সিন্ডিকেট।’’

শুভেন্দুও বলেন, “তৃণমূলকে সিন্ডিকেট করে ভোট করতে হয় না। যদি থেকে থাকে তা হলে কন্যাশ্রীর সিন্ডিকেট আছে, রূপশ্রীর সিন্ডিকেট আছে, সবুজসাথীর সিন্ডিকেট আছে, উন্নয়নের সিন্ডিকেট আছে। গুজরাতের মতো দাঙ্গার সিন্ডিকেট, খুনের সিন্ডিকেট তৃণমূল বাংলায় করতে দেয়নি।” কলকাতায় বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিংহের প্রতিক্রিয়া, ‘‘মানুষের কোনও সিন্ডিকেট নেই। সব তৃণমূলের। তা থেকে যা পাওনা, তা তৃণমূল পায়। মানুষের পাওনা শূন্য।’’

Mamata Banerjee TMC Partha Chatterjee Abhishek Banerjee Firhad Hakim Suvendu Adhikari Federal Front মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy