শুভেন্দু ফিরে যাওয়ার পর পরই গঙ্গাজল দিয়ে ওই শহিদ বেদী ধোয়ার কাজ শুরু করে তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা।
নেতাই শহিদ দিবস পালন নিয়েও সরগরম হল রাজনীতি। বৃহস্পতিবার সকালে নেতাইয়ের শহিদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর তাতেই নাকি শহিদ বেদী অশুদ্ধ হয়ে গিয়েছে বলে গঙ্গাজল ছিটিয়ে শুদ্ধ করে তৃণমূল। তার পরেই বেদীতে মালা দেন তৃণমূলের রাজ্য মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র।
বৃহস্পতিবার সকালেই নেতাই যান শুভেন্দু। তিনি ফিরে যাওয়ার পর পরই গঙ্গাজল দিয়ে ওই শহিদ বেদী ধোয়ার কাজ শুরু করে তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা। সেই সময়ে দলের লালগড় ব্লক সভাপতি শ্যামল মাহাতো বলেন, ‘‘২০১২ সাল থেকে নেতাই দিবস পালন করে আসছে তৃণমূল। বরাবর অরাজনৈতিক ভাবেই দিনটি পালন করা হয়। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী দু’জন বিজেপি নেতাকে পাশে নিয়ে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিয়ে জায়গাটাকে অপবিত্র করে দিয়েছেন। সেই কারণে জায়গাটি গঙ্গাজল দিয়ে শুদ্ধ করা হল।’’
শহিদ বেদীতে মাল্যদানের পরে এ দিন পার্থ ও মদনের আক্রমণের লক্ষ্যও ছিলেন শুভেন্দু। বৃহস্পতিবার শহিদ ও আহতদের পরিবারের হাতে ৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য তুলে দেন শুভেন্দু। এর পরে বলেন, ‘‘কোনও দিন নেতাইয়ে রাজনৈতিক পতাকা, ব্যানার নিয়ে আসেননি। যাঁরা এত দিন আসেননি, তাঁদের ব্যানার এখন নেতাইয়ে দেখা যাচ্ছে।’’
পাল্টা আক্রমণ শানান পার্থ, মদনও। পার্থ বলেন, ‘‘যখন দেহ নিয়ে এসেছিলাম, তখন তো কেউ কিছু বলেননি। সারা রাত জেগে কলকাতা থেকে দেহ নিয়ে সন্ধ্যার পর এসে পৌঁছেছিলাম। সবটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে হয়েছিল। প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর ছিলেন মমতা। ইতিহাসকে বিকৃত করলে চলবে না।’’
আর মদন সরাসরি শুভেন্দুর নাম করেই চ্যালেঞ্জ ছোড়েন। বলেন, ‘‘খেলার মাঠেই ছিলাম, আছি। এ বার কোচিংও করাব। এমন কোচিং করব যে শুভেন্দু বুঝতে পারবেন।’’
বেদীতে মালা দেন তৃণমূলের রাজ্য মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র।
আরও পড়ুন: সেলুলয়েড থেকে দূরে প্রেমে মগ্ন ৪২-এর বিপাশা
আরও পড়ুন: যৌবনেই মৃত্যুভয় গ্রাস করেছিল তাঁকে, ইরফান চলেও গেলেন অকালে
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy