২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি কত দূর? সেই সম্পর্কেই খোঁজখবর নিতে এ বার বৈঠকে বসছেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। ওই বৈঠকে ডাকা হয়েছে তৃণমূলের জেলা সংগঠনের সকল সভাপতি এবং চেয়ারম্যানকে। ১৪ জুন হবে এই বৈঠক।
প্রতি বছর ২১ জুলাই ধর্মতলায় সমাবেশ করে তৃণমূল। সেই সমাবেশে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কর্মী-সমর্থকেরা যোগ দেন। তাঁদের সভাস্থলে আনার দায়িত্বে থাকেন জেলা নেতৃত্ব। শুধু তা-ই নয়, ২১ জুলাই নিয়ে জেলায় জেলায় আলাদা করে প্রস্তুতি চলে। প্রচার, সভা করেন জেলা নেতৃত্ব। ১৪ জুনের বৈঠকে সেই সব নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর।
২০২৬ সালে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনের আগে সম্ভবত শেষ ২১ জুলাইয়ের কর্মসূচি আয়োজিত হতে চলেছে এ বার। দলের সকল স্তরের নেতা-কর্মীকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে বিধানসভা ভোটে দলের রণকৌশল কী হতে পারে সেই নিয়ে বার্তা দিতে পারেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে ১৪ জুনের বৈঠক খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে তৃণমূল। ওই দিন দুপুরে ভবানীপুরের প্রিয়নাথ মল্লিক রোডের কার্যালয়ে বৈঠকটি হবে। ২১ জুলাই নিয়ে ইতিমধ্যেই তৃণমূলের অন্দরে ব্যস্ততা তুঙ্গে। ঘটনাচক্রে, ২১ জুলাই থেকেই সংসদে বাদল অধিবেশন শুরু হচ্ছে।
আরও পড়ুন:
রাজ্যের সকল জেলার তৃণমূলের সভাপতি এবং চেয়ারম্যানকে ওই বৈঠকে উপস্থিত হওয়ার কথা বলা হয়েছে। যেহেতু উত্তর কলকাতা এবং বীরভূমে জেলা সভাপতি বা চেয়ারম্যান পদ নেই, তাই ওই দুই জায়গার কোর কমিটির সদস্যদের বৈঠকে ডাকা হয়েছে। উল্লেখ্য, ১৪ জুন বীরভূমের জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠক ছিল। কিন্তু ওই দিন ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি বৈঠক থাকায় কোর কমিটির বৈঠক পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রামপুরহাটের বিধায়ক তথা বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বিষয়ে তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহেরও।