গাড়ির পারমিট সংক্রান্ত যাবতীয় কাজকর্ম এ বার থেকে অনলাইনেই মেটানোর ব্যবস্থা করছে পরিবহণ দফতর। সম্প্রতি জারি হওয়া একটি নির্দেশিকায় পরিবহণ দফতর জানিয়েছে, এখন থেকে বাহন পোর্টালের মাধ্যমে এই সংক্রান্ত কাজ মেটানো যাবে।
বাসের মতো পর্যায়-ভিত্তিক পরিবহণ (স্টেজ ক্যারেজ) এবং অটোরিকশার ক্ষেত্রে এখন থেকে এই পোর্টালের মাধ্যমেই আবেদন করা যাবে বলে জানানো হয়েছে। যাঁরা আবেদন করবেন, তাঁদের ক্ষেত্রে ‘আগে এলে আগে দেওয়া হবে’ নীতিতে (ফার্স্ট ইন, ফার্স্ট আউট বা ফিফো) পারমিট দেওয়া হবে। মূলত পারমিটকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন মধ্যস্বত্বভোগী এবং দালাল-চক্রের উৎপাত ঠেকাতেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানাচ্ছেন পরিবহণ দফতরের আধিকারিকদের একাংশ।
যাঁরা আগেই পারমিট পেয়েছেন, তাঁদের এই নতুন ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য গাড়ির কর মেটানোর সময়ে পারমিটের প্রতিলিপি জমা দিতে হবে। যার ভিত্তিতে ৯৬ ঘণ্টার মধ্যে নির্দিষ্ট পোর্টালে পারমিটের ডিজিটাইজ়ড প্রতিলিপি আপলোড করা হবে বলে জানানো হয়েছে। নতুন বাস বা অটোর ক্ষেত্রে যাঁরা নির্দিষ্ট রুটের পারমিটের জন্য আবেদন করবেন, তাঁদের প্রয়োজনীয় শূন্যস্থান খতিয়ে দেখে একটি ‘অফার লেটার’ দেওয়া হবে। ওই চিঠির সর্বোচ্চ মেয়াদ ছ’মাস। এর জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ জমা দিতে হবে। ওই সময়ের মধ্যে গাড়ির নথিভুক্তির কাজ না হলে অফার লেটার বাতিল করে পরের দিকে যাঁরা থাকবেন, তাঁদের সুযোগ দেওয়া হবে। পারমিটের মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার ছ’মাসের মধ্যে সেটির নবীকরণ না করালে পারমিট বাতিল করে দেবে পরিবহণ দফতর। পাশাপাশি, এখন থেকে পারমিটওয়ালা গাড়ি কেউ বিক্রি করতে চাইলে সংশ্লিষ্ট মালিককে হলফনামা দিতে হবে। ওই গাড়ি কিনতে হলেও রাজ্যের পারমিট থাকতে হবে।
সূত্রের খবর, কোথাও কোনও রুটে শূন্যস্থানের ঘোষণা করা হলে পোর্টালে সেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সপ্তম দিন থেকে আবেদনপত্র গ্রহণ করা হবে। এক বার পারমিট পাওয়ার পরে এক বছরের মধ্যে রুটের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি বা রুট বদলের জন্য আবেদন করা যাবে না বলে জানিয়েছে পরিবহণ দফতর। এ ছাড়াও, রাজ্যের মধ্যে সব ধরনের বাণিজ্যিক গাড়িকে কোনও না কোনও ভাবে পারমিটের আওতায় আনার কথাও জানিয়েছেন দফতরের কর্তারা। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন আঞ্চলিক পরিবহণ দফতর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে বলে জানানো হয়েছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)