বছর আড়াই আগে একটি মামলার যাবতীয় নথিপত্র-সহ দু’টি ব্যাগ এয়ার ইন্ডিয়ার কাছ থেকে খোয়া গিয়েছে বলে অভিযোগ তুলে মামলা হয়েছিল রাজ্য ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে। বিচারক শ্যামল গুপ্ত সোমবার ওই বিমান সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছেন, ব্যাগ-পিছু দু’লক্ষ হিসেবে চার লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
আইনজীবী দিবাকর ভট্টাচার্য ও সঞ্জয় পণ্ডিত সুপ্রিম কোর্টে মামলা লড়তে দিল্লি যাওয়ার জন্য ২০১৫ সালের ১৩ অগস্ট এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে চাপেন। বোর্ডিং পাস নিয়ে তাঁরা দু’টি ব্যাগ দেন বিমানকর্মীদের হাতে। ব্যাগ দু’টির ওজন ছিল ২৬ কিলোগ্রাম। আইজীবীরা জানান, দিল্লি বিমানবন্দরে কনভেয়ার বেল্ট থেকে ব্যাগ না-পেয়ে তাঁরা এয়ার ইন্ডিয়ার দিল্লি কর্তৃপক্ষকে জানান, পরের দিন সকালেই তাঁদের মামলার শুনানি রয়েছে। তার আগে ব্যাগ চাই। কেননা তাতেই সব কাগজপত্র আছে। কিন্তু কোনও ব্যাগ পাননি তাঁরা।
কলকাতায় ফিরে ওই আইনজীবীরা অভিযোগ জানান বিমান সংস্থার কাছে। এয়ার ইন্ডিয়া তাঁদের বলে, বিমান পরিবহণ আইন মেনে প্রতি কিলোগ্রামে ৪৫০ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া যেতে পারে। টাকা না-নিয়ে ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে মামলা করেন ওই আইনজীবীরা।
ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে তাঁদের আইনজীবী নৃপেন্দ্ররঞ্জন মুখোপাধ্যায় ও শৌর্য মুখোপাধ্যায় জানান, বিমান সংস্থার কর্তৃপক্ষ যে-ভাবে গুনাগার দিতে চাইছেন, তা হাস্যকর। বিমান সংস্থার আইনজীবী আদালতে জানান, বিমান পরিবহণ আইন অনুযায়ী তাঁরা ব্যাগের ওজন অনুযায়ী ওই ক্ষতিপূরণ ধার্য করেছেন। দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে দু’জনকে চার লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বলেন বিচারক। সুপ্রিম কোর্টের মামলার খরচের জন্য বাড়তি ১০ হাজার টাকা দিতে বলা হয়েছে। ৪০ দিনের মধ্যে ক্ষতিপূরণের টাকা না-দিলে ন’শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে। এয়ার ইন্ডিয়া-কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার বলেন, ‘‘আইনকে আমরা সম্মান করি। রায়ের প্রতিলিপি পাইনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy