সর্বদলীয় প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে দুই প্রান্তের দুই দেশে পাকিস্তান- পরিচিতি দিলেন রাজ্যের দুই সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও শমীক ভট্টাচার্য। রাজ্যে পরস্পরের লড়াই চললেও দেশের কথায় এক সুরে সন্ত্রাস- বিরোধী তোপ দাগলেন তৃণমূল আর বিজেপির দুই সাংসদ।
শনিবার ডেনমার্কের রাজধানী কেপেনহেগানে শমীক বলেন, ‘‘হাত জোড় করে কারও সাহায্য প্রার্থনা করতে আসিনি। এই সতর্ক করতে এসেছি। আজ ভারত যে আঘাতের মুখোমুখি হয়েছে, আগামী দিন বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে সেই আঘাত আসতে পারে।’’ তাঁর সংযোজন, ধর্ম জিজ্ঞেস করে পর্যটকদের গুলি চালিয়ে ওরা কয়েকজনকে হত্যা করেনি, ভারতের ঐক্যে আঘাত করেছে। তাই ওরা যে ভাষা বোঝে, সেই ভাষায় জবাব দেওয়া হয়েছে। আমাদের মা-বোনের যে সিঁদুর মুছে দিয়েছে, তার মূল্য চোকাতে হয়েছে পাকিস্তানকে।’’
অন্যদিকে, ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা হয়ে এ দিনই মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে পৌঁছেছেন অভিষেকদের দলটি। তার আগে সমাজমাধ্যমে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, ‘সন্ত্রাস মোকাবিলায় দৃঢ় ও আপসহীন সিদ্ধান্ত ভারতের নীতিগত অবস্থানে সুপ্ত। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তা বিশ্ব- শান্তিকেই প্রতিষ্ঠা দেবে।’ শুক্রবার জাকার্তায় একাধিক সংগঠনের সঙ্গে দেখা করে অভিষেক সহ প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ভারতের এই অবস্থান সবিস্তারে ব্যাখ্যা করেছেন। প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে আলোচনায়ও দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও উন্নয়নে সকলের ভূমিকা নিশ্চিত করার কথা উঠে এসেছে। জাকার্তায় প্রবাসী বাঙালিদের সঙ্গে বৈঠককেও ইতিবাচক বলে বর্ণনা করেছেন তিনি। একাধিক সভায় পাকিস্তানের মদতে সন্ত্রাস নিয়ে দেশের মনোভাব বুঝিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি এই রকম প্রতিনিধি দলের লক্ষ্য স্পষ্ট করেছেন অভিষেক।
বাংলাদেশের প্রসঙ্গ টেনে শমীকের কথা, যে ইন্দিরা গান্ধী বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছিলেন, আজ বাংলাদেশে তাঁরই নামাঙ্কিত পাঠাগার আগুন লাগিয়ে ভস্মীভূত করে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘অনেকে বলছেন আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করার কথা। মাথায় রাইফেলের নল ঠেকিয়ে রাখলে কি কৃষ্ণনাম বেরোবে?’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)