অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রামকৃষ্ণ মণ্ডল (ডান দিকে)। নিজস্ব চিত্র ফাইল চিত্র।
সরকারি ভাবে মিটল পদত্যাগ পর্ব। সোমবার সকালে কাঁথি-৩ ব্লক অফিস খোলার পরেই বিডিওর কাছে গিয়ে ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের মারিশদা (৫) গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ঝুনুরানি মণ্ডল এবং উপপ্রধান রামকৃষ্ণ মণ্ডল। বিডিও নেহাল আহমেদের কথায়, ‘‘আইন মেনে নতুন প্রধান এবং উপপ্রধান নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।’’
শনিবার কাঁথিতে জনসভায় যোগ দেওয়ার আগে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় গিয়েছিলেন মারিশদায়। সেখানে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে পঞ্চায়েতের কাজকর্ম নিয়ে অসন্তোষের আঁচ পান অভিষেক। পরে ঘোষণা করেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করতে হবে প্রধান, উপপ্রধান ও তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকে। বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার অন্যতম সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রশেখর মণ্ডল বলেন, ‘‘পদত্যাগের নেপথ্যে পরাজয়ের জ্বালা ভোলার চেষ্টা।’’
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েতে তৃণমূলের নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা থাকলেও লোকসভা ভোটে (কাঁথি কেন্দ্র) এই এলাকায় বিজেপি তৃণমূলের তুলনায় ২০০ ভোটে এগিয়ে ছিল। বিধানসভা ভোটে বিজেপি এগিয়ে ছিল প্রায় দেড় হাজার ভোটে। তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তথা এগরার বিধায়ক তরুণ মাইতি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,‘‘এলাকায় উন্নয়নের ক্ষেত্রে রং বিচার চলছিল। তাই সর্বোচ্চ নেতৃত্ব পদক্ষেপ করেছেন।’’
শনিবার অভিষেক মারিশদায় যাঁদের বাড়ি গিয়েছিলেন, তাঁদের কয়েক জনের অভিযোগ, ওই ঘটনার পর থেকে হুমকি চলছে। থানায় কোনও অভিযোগ না হলেও এ ক্ষেত্রে শাসক দলের স্থানীয় নেতৃত্বের উপরেই দোষারোপ করছেন তাঁরা। পুলিশের পক্ষ থেকে কয়েক জনের বাড়ির সামনে ২৪ ঘণ্টার জন্য রক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy