Advertisement
E-Paper

পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের অধীনে রাজ্যকে ৬৮০ কোটি টাকা দিল কেন্দ্র, ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের হাত দিয়ে খরচ হবে গ্রামীণ উন্নয়নে

পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের আওতায় পশ্চিমবঙ্গকে ৬৮০ কোটি ৭১ লক্ষ টাকা দিল কেন্দ্রীয় সরকার। চলতি অর্থবর্ষে ‘সংযুক্ত (মৌলিক) অনুদান’ খাতে প্রাপ্য অর্থের প্রথম কিস্তি হিসাবে এই তহবিল পেল রাজ্য।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০২৫ ১৮:১৪
Union government releases over Rs. 680 crores for West Bengal directed towards Rural Development

নরেন্দ্র মোদীর সরকারের তরফে প্রকাশিত বিবৃতি। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের আওতায় পশ্চিমবঙ্গকে ৬৮০ কোটি ৭১ লক্ষ টাকা দিল কেন্দ্রীয় সরকার। চলতি অর্থবর্ষে ‘সংযুক্ত (মৌলিক) অনুদান’ খাতে প্রাপ্য অর্থের প্রথম কিস্তি হিসাবে এই তহবিল পেল রাজ্য। পঞ্চায়েত তথা গ্রামীণ উন্নয়নমূলক প্রতিষ্ঠানগুলির জন্য এই অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। রাজ্যের ৩ হাজার ২২৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত, ৩৩৫টি পঞ্চায়েত সমিতি এবং ২১টি জেলা পরিষদের কাছে এই তহবিল পৌঁছবে বলে কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েতিরাজ মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।

৬ অক্টোবর অর্থাৎ বুধবার পশ্চিমবঙ্গকে এই তহবিল হস্তান্তর করা হয়েছে বলে কেন্দ্রের তরফ থেকে এক বিবৃতিতে বৃহস্পতিবার জানানো হয়েছে। পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের আওতায় গত এবং বর্তমান অর্থবর্ষ মিলিয়ে এই নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ পেল মোট ৪ হাজার ১৮১ কোটি ২৩ লক্ষ টাকা। এই পুরো অর্থ অবশ্য ‘সংযুক্ত অনুদান’ খাতের নয়। সদ্য পাওয়া ৬৮০ কোটি টাকা ধরে গত অর্থবর্ষ থেকে এ পর্যন্ত মোট ২ হাজার ৮২ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা রাজ্য পেয়েছে ‘সংযুক্ত অনুদান’ খাতে। বাকি ২ হাজার ৯৯ কোটি ১০ লক্ষ টাকা রাজ্য পেয়েছে ‘আবদ্ধ অনুদান’ (বাঁধা অনুদান) খাতে।

‘সংযুক্ত অনুদান’ খাতের অর্থ কোন কাজে খরচ করা হবে, সে সিদ্ধান্ত পঞ্চায়েতিরাজ প্রতিষ্ঠানগুলি নিজেরাই নিতে পারে। স্থানীয় চাহিদা বা প্রয়োজনীয়তার উপরে ভিত্তি করে এই অর্থকে কাজে লাগানোর অধিকার রয়েছে পঞ্চায়েতের। রাস্তা বা ফুটপাথের নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ, এলইডি বা সৌরবাতি লাগিয়ে রাস্তা আলোকিতকরণ, গ্রামে খেলার মাঠ তৈরি, পরিবেশ সংরক্ষণ, কর্মসংস্থান সংক্রান্ত কার্যকলাপ, ডিজিটাল পরিকাঠামোর উন্নতি ঘটানো, শ্মশান রক্ষণাবেক্ষণ ইত্যাদি নানা কাজে এই টাকা খরচ করার বিষয়ে পঞ্চায়েতগুলি স্বাধীন সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।

‘আবদ্ধ অনুদান’ খাতে পাওয়া তহবিল খরচের বিষয়ে এই স্বাধীনতা থাকে না। যে ধরনের পরিকাঠামো নির্মাণের কথা উল্লেখ করে ওই খাতের টাকা পাঠানো হয়, শুধু সেই কাজেই খরচ করা যায়। দু’টি অর্থবর্ষ মিলিয়ে এ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গকে ‘আবদ্ধ অনুদান’ খাতে যে ২ হাজার ৯৯ কোটি ১০ লক্ষ টাকা পাঠানো হয়েছে, তা শৌচাগার নির্মাণ ও পানীয় জল সরবরাহ সংক্রান্ত কাজে খরচ করতে হবে বলে কেন্দ্র নির্দিষ্ট করে দিয়েছিল। গত অর্থবর্ষে দু’টি কিস্তিতে ‘সংযুক্ত অনুদান’ খাতের টাকা পাঠানোর কয়েক দিনের মধ্যেই ‘আবদ্ধ অনুদান’ খাতের টাকাও ছাড়া হয়েছিল। তাই এ বারও আর কয়েক দিনের মধ্যেই ‘আবদ্ধ অনুদান’ বাবদ চলতি অর্থবর্ষের প্রথম কিস্তির টাকা পশ্চিমবঙ্গ পেয়ে যেতে পারে বলে তথ্যাভিজ্ঞ মহল মনে করছে।

Finance commission PM Narendra Modi
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy