পরিবেশবান্ধব বাজি ফাটাতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের রায়ই বহাল রাখল কলকাতা হাই কোর্ট। প্রতীকী ছবি।
পরিবেশবান্ধব বাজি বিক্রি এবং ফাটানো হচ্ছে কি না তা নিশ্চিত করতে হবে রাজ্যকেই। বুধবার এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট।
আদালত জানিয়েছে, যে সব বাজি বিক্রি করা হবে তাতে কিউআর কোড এবং ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট (নিরি)-এর অনুমতি আছে কি না তা-ও নিশ্চিত করতে হবে রাজ্যকে। শুধু তাই নয়, জনবহুল জায়গা, হাসপাতালের সামনে কোনও বাজি পোড়ানো যাবে না বলেও জানিয়েছে আদালত। ছ’সপ্তাহ পরে মামলাটির ফের শুনানি হবে। তখন দেখা হবে, আদালতের নির্দেশ মেনে কাজ হয়েছে কি না।
গত ২৯ অক্টোবর কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ ছিল, কালীপুজো বা দীপাবলিতে কোনও বাজি ব্যবহার করা যাবে না। শুধুমাত্র প্রদীপ জ্বালানো যেতে পারে। হাই কোর্টের এই নির্দেশের পরই বাজি ব্যবসায়ীরা চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। গত ১ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট জানায়, বাজি একেবারে নিষিদ্ধ করা যাবে না। পরিবেশবান্ধব বাজি ব্যবহার করা যাবে। তবে রাত ৮ থেকে১০টা পর্যন্ত অর্থাৎ দু’ঘণ্টার জন্য বাজি ফাটানোর অনুমতি দেওয়া হবে।
করোনা পরিস্থিতিতে বাজি ফাটানো বন্ধ করা উচিত। এই আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন পরিবেশ কর্মী রোশনি আলি। তাঁর যুক্তি ছিল, অতিমারি পরিস্থিতি এখনও বেশ গুরুতর পর্যায়ে রয়েছে। এমন অবস্থায় গত বছরও হাই কোর্ট বাজি পোড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। সেই রায়ের সূত্র ধরেই মামলাকারী রোশনি আদালতকে বলেছিলেন, ‘‘এ বছরও বাজির ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হোক। কারণ বাজির ধোঁয়া থেকে দূষণে বয়স্কদের পাশাপাশি শিশুদেরও শ্বাসকষ্ট হতে পারে।’’ মামলাটি পর্যবেক্ষণ করার পর হাই কোর্ট কালীপুজো এবং দীপাবলিতে বাজি নিষিদ্ধ করার নির্দেশ দেয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy