অর্পিতা মুখোপাধ্যায়।
শুক্রবার আদালতে যাওয়ার আগে জোকা ইএসআই হাসপাতালে অর্পিতা জানালেন, সাংবাদিকদের তাঁর আর কিছু বলার নেই। অর্পিতা বললেন, ‘‘আমি যা স্টেটমেন্ট দেওয়ার ইডিকেই দিয়েছে।’’
হাসপাতাল থেকে বেরোনোর পথে তখন রীতিমতো কাঁদছেন অর্পিতা। চোখে জল। কান্নার দমকে বিকৃত হয়ে গিয়েছে মুখ। তার মধ্যেই তাঁকে লক্ষ্য করে ধেয়ে আসে সাংবাদিকদের একের পর এক প্রশ্ন। জবাবে এল ওই উত্তর। যা জানানোর তিনি তদন্তকারীদেরই জানিয়ে দিয়েছেন। অথচ গত ১২ দিনে পাঁচ বার হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করতে আসা-যাওয়ার পথে প্রতি বারই কিছু না কিছু বলেছেন অর্পিতা।
গত বুধবারও আদালতে যাওয়ার পথে অর্পিতা কথা বলেছেন সাংবাদিকদের সঙ্গে। মঙ্গলবার বলেছেন, ‘‘টাকা আমার অজান্তে, আমার অনুপস্থিতিতে ফ্ল্যাটে ঢোকানো হয়েছে।’’ তবে শেষ তিন দিনে কী এমন হল!
খতিয়ে দেখা গেলে দেখা যাবে দু’টি ঘটনা ঘটেছে। এক, অর্পিতাকে আদালতে তোলা হয়েছে। দুই, তাঁর সঙ্গে সম্ভবত আইনজীবীদের কথাও হয়েছে। কেন না আদালতে বুধবারই আইনজীবীরা অর্পিতার সঙ্গে দেখা করার অনুমতি চেয়েছিলেন। ইডি একজন আইনজীবীকে ১৫ মিনিটের জন্য দেখা করার অনুমতিও দেয়। আদালত থেকে বেরোনোর পর পার্থ বা অর্পিতাকে আর কিছু বলতে শোনা যায়নি। শোনা গেল না শুক্রবারও। অর্পিতা হয়তো কথা বললেন, কিন্তু আগের মতো কোনও বয়ান দিলেন না। বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন, তবে কি কোনও কারণে আর প্রকাশ্যে ‘বেফাঁস’ মন্তব্য করতে চাইছেন না অর্পিতাও?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy