Advertisement
E-Paper

কত কর্মী চাই, ঠিক না-করেই পুলিশ জেলা!

ভাটপাড়া। নিমতা। কাঁকিনাড়া। সন্দেশখালি। উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকায় ভোট-পরবর্তী সংঘর্ষ শুধু মারামারিতেই সীমাবদ্ধ নেই।

প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ ও চন্দ্রপ্রভ ভট্টাচার্য

শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০১৯ ০২:০৪
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

উত্তর ২৪ পরগনা জেলার এ-প্রান্ত থেকে ও-প্রান্তে ভোট-পরবর্তী হিংসায় একাধিক প্রাণহানি ঘটেছে। ওই জেলায় প্রশাসনের গতি আরও বাড়াতে নতুন পুলিশ-জেলা তৈরি হলেও সেখানে পদের সংখ্যা কী বা কেমন হবে, তা এখনও স্থির হয়নি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর। এই পরিস্থিতিতে নতুন পুলিশ-জেলা কতটা কার্যকর ভূমিকা নিতে পারবে, সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে আমজনতা থেকে প্রশাসনের অন্দরে।

ভাটপাড়া। নিমতা। কাঁকিনাড়া। সন্দেশখালি। উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকায় ভোট-পরবর্তী সংঘর্ষ শুধু মারামারিতেই সীমাবদ্ধ নেই। খুন হয়েছেন বেশ কয়েক জন। এই পরিস্থিতিতে পুলিশের ‘নিষ্ক্রিয়তা’-কে কাঠগড়ায় তুলছেন অনেকে। তবে পুলিশ-প্রশাসনিক মহলের একাংশের ব্যাখ্যা, রাজ্যের অন্যান্য এলাকার মতোই সীমান্ত লাগোয়া উত্তর ২৪ পরগনাতেও রাজনৈতিক সংঘর্ষ হচ্ছে। তা কার্যত নিয়মিত হয়ে পড়ছে। সেই জন্য আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে কর্মী-সংখ্যায় টান পড়েছে। প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, ‘‘উত্তর ২৪ পরগনায় এক দিন ব্যারাকপুর উত্তপ্ত হচ্ছে তো পরের দিন নিমতা। কখনও সন্দেশখালিতে ঘটছে রাজনৈতিক সংঘর্ষ। এলাকায় পাঠানোর জন্য পুলিশকর্মীর সংখ্যায় টান পড়ছে মাঝেমধ্যেই।’’ এর ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামলানোর ক্ষেত্রেও কখনও কখনও সিভিক ভলান্টিয়ারেরাই পুলিশকর্মীদের সঙ্গী হচ্ছেন বলে জানাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, ‘ক্যামোফ্লেজ’ও পরানো হচ্ছে সিভিক ভলান্টিয়ারদের।

১২-১৩ দিন আগে রাজ্য তিনটি পুলিশ-জেলা তৈরির ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। সেই তালিকায় ছিল উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ। সেই বনগাঁ পুলিশ-জেলার জন্য কত পদ তৈরি হবে, এখনও পর্যন্ত তার তালিকায় হয়নি। সেই তালিকা তৈরি করে পুলিশ ডিরেক্টরেট। তার পরে সেটি অর্থ দফতরে পাঠানো হয়। সেখান থেকে রাজ্য মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের জন্য যায়। মন্ত্রিসভায় পাশের পরে তা চূড়ান্ত হয়। কিন্তু বনগাঁ পুলিশ-জেলার জন্য এখনও তা পুলিশ ডিরেক্টরেট থেকে অর্থ দফতরে যায়নি বলে সূত্রের খবর। প্রশাসনিক মহলের একাংশের মতে, পদের সংখ্যা স্থির না-করে পুলিশ-জেলা তৈরির ঘোষণা কার্যত নজিরবিহীন।

নিয়ম অনুসারে পুলিশ ডিরেক্টরেট থেকে অর্থ দফতর এবং সেখান থেকে রাজ্য মন্ত্রিসভার ছাড়পত্র মেলার পরে কর্মী-সংখ্যা চূড়ান্ত হয়। অনেক ক্ষেত্রে কাজটা ধীর গতিতে হলেও পদের সংখ্যা স্থির না-করেই পুলিশ-জেলা ঘোষণার ঘটনা আগে ঘটেনি। এই ঘটনাকে ‘হাতিয়ার’ করে পুলিশ-প্রশাসনের একাংশের খেদ, যে-কোনও ক্ষেত্রেই পুলিশকে কাঠগড়ায় তুলছেন অনেকে। কিন্তু লোকবলের যা হাল, তাতে সব সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কী ভাবে সামাল দেওয়া যাবে, সেটাই প্রশ্ন। তবে শুধু পুলিশ-জেলা নয়, অনেক নতুন থানাতেও পুলিশের সংখ্যা বেশ কম। ফলে প্রায়ই দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সমস্যায় পড়তে হয় কর্মী-অফিসারদের।

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।

Political Violence Violence Police District
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy