Advertisement
E-Paper

স্কুলে গেলে দ্বাদশের বই পাবেন অভিভাবক

এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে শিক্ষক সংগঠনগুলো।

আর্যভট্ট খান

শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০২০ ০৪:১৬
ছবি সংগৃহীত।

ছবি সংগৃহীত।

লকডাউনের মধ্যে অভিভাবকদের স্কুলে ডেকে মিড-ডে মিলের চাল ও আলু বিতরণ করা হয়েছে। সেই পদ্ধতিতেই দ্বাদশ শ্রেণির কিছু বই পড়ুয়াদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে শিক্ষা দফতর। দ্বাদশ শ্রেণিতে মূলত বাংলা, ইংরেজি বই উচ্চ মাধ্যমিক সংসদ থেকে দেওয়া হয়। এই বইগুলি যত দ্রুত সম্ভব ছাত্রছাত্রীদের দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা দফতরের কর্তারা।

করোনার দরুন একাদশ থেকে দ্বাদশে ওঠার সব পরীক্ষা না-হলেও শিক্ষা দফতর সব পড়ুয়াকেই পাশ করিয়ে দিয়েছে। একাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা নতুন ক্লাসে উঠে গেলেও সকলের হাতে বই নেই। অথচ বেশ কিছু স্কুলে অনলাইনে ক্লাস চলছে। টিভিতে ঐচলছে লাইভ ক্লাসরুমও। হাতে বই না-থাকায় পড়াশোনায় খুব অসুবিধা হচ্ছে বলে পড়ুয়াদের একাংশ জানাচ্ছে। শিক্ষাকর্তারা জানান, পড়ুয়াদের এই অসুবিধা দূর করতেই দ্রুত বই পৌঁছে দেওয়া হবে।

শিক্ষা দফতরের এক কর্তা বলেন, “লকডাউনের মধ্যে খুব সফল ভাবেই মিড-ডে মিলের চাল-আলু দেওয়া হয়েছে অভিভাবকদের হাতে। অভিভাবকেরা যে-ভাবে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রেখে স্কুলে গিয়ে চাল-আলু নিয়ে গিয়েছেন, সেই ভাবেই তাঁরা স্কুল থেকে বইও সংগ্রহ করতে পারেন।” রাজ্য পাঠ্যক্রম কমিটির চেয়ারম্যান অভীক মজুমদার বলেন, “বাংলা, ইংরেজি-সহ দ্বাদশ শ্রেণির যে-সব বই আমরা দিই, সেগুলো ছাপা হয়ে গিয়েছে। সুতরাং বইগুলো পড়ুয়াদের কাছে পৌঁছে দিতে কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।”

এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে শিক্ষক সংগঠনগুলো। তাদের একাংশের মতে, যে-সব বই বাজার থেকে কেনার কথা, অধিকাংশ পড়ুয়ার হাতে সেগুলো এখনও নেই। তাই ওরা খুবই অসুবিধার মধ্যে আছে। লকডাউনে সরকারি বইগুলো যদি পডুয়াদের হাতে দ্রুত পৌঁছয়, তা হলে ওরা কিছুটা হলেও উপকৃত হবে।

West Bengal Lockdown WBCHSE Education
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy