Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

ঝড়বৃষ্টির দুপুরে বসে গেল ফরাক্কা

মুর্শিদাবাদের ফরাক্কায় এমনিতে ৫০০ মেগাওয়াটের দু’টি ইউনিট বন্ধ রেখে পুরনো চারটি ইউনিট চালানো হচ্ছিল। বৃহস্পতিবার রাতে পঞ্চম ইউনিটও চালু করা হয়।

 ছবি: গৌতম প্রামাণিক

ছবি: গৌতম প্রামাণিক

নিজস্ব সংবাদদাতা
ফরাক্কা ও কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০১৮ ০৩:৩৮
Share: Save:

সরবরাহ লাইনের গোলযোগে শুক্রবার দুপুরে বন্ধ হয়ে গেল এনটিপিসি-র ফরাক্কা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিটই। তবে তাতে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার পরিষেবা কিছু ক্ষণের জন্য খানিক ধাক্কা খেলেও বড়সড় সমস্যা হয়নি।

মুর্শিদাবাদের ফরাক্কায় এমনিতে ৫০০ মেগাওয়াটের দু’টি ইউনিট বন্ধ রেখে পুরনো চারটি ইউনিট চালানো হচ্ছিল। বৃহস্পতিবার রাতে পঞ্চম ইউনিটও চালু করা হয়। কিন্তু শুক্রবার দুপুর ২টো নাগাদ প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টি শুরু হলে সেটি অচল হয়ে যায়। কয়েক মিনিটের মধ্যেই একে-একে বন্ধ হয়ে যায় বাকি চারটি ইউনিটও। বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে গোটা এনটিপিসি প্ল্যান্ট। নেমে আসে অন্ধকার।

কেন এই বিভ্রাট, তা প্রথমে বোঝা যাচ্ছিল না। পাওয়ার গ্রিডে সমস্যা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, তাঁদের ব্যবস্থায় কোনও সমস্যা হয়নি। বিকল্প উপায়ে প্ল্যান্টে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করে বিকেলে গ্রিডের ইঞ্জিনিয়ারেরা কাজে লাগেন। সন্ধে নাগাদ বোঝা যায়, সরবরাহের ‘সুইচার সিস্টেম’-এ সমস্যা হয়েছে। তা সারাতে কাজ
শুরু হয়।

এই বিভ্রাটের জেরে রাজ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহে যে বিশেষ প্রভাব পড়েনি তার কারণও ওই ঝড়বৃষ্টিই। কারণ, আবহাওয়া খানিক ঠান্ডা হয়ে যাওয়ায় উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বহু জেলাতেই বিদ্যুতের চাহিদা অনেকটা কমে যায়। তাই বিদ্যুতের বিশেষ ঘাটতি হয়নি। রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার এক কর্তা জানান, সামান্য যা ঘাটতি হয়েছিল, তা নিজেদের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি থেকেই পুষিয়ে নেওয়া গিয়েছে।

ফরাক্কা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শৈবাল ঘোষ জানান, রাতের মধ্যেই পরিস্থিতি সামলে ফের বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করা যাবে বলে তাঁদের আশা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

NTPC Weather
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE