বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ২৫ মে শান্তিনিকেতনে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সবুজকলি সেনকে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে চিঠি দিয়ে ওই খবর জানানো হয়েছে। মোদী বিশ্বভারতীর আচার্যও। ওই দিনই বিশ্বভারতীতে ‘বাংলাদেশ ভবন’-এরও উদ্বোধন করতে আসার কথা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। বৃহস্পতিবার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে উপাচার্যকে হাসিনার সফরের দিনটি জানানো হয়েছে।
বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, ২৫ তারিখে কলকাতায় এসে শান্তিনিকেতন যাবেন হাসিনা। পরের দিন যাবেন আসানসোলের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে সাম্মানিক ডিগ্রি দেওয়া হবে।
বিশ্বভারতীর আচার্য হিসেবে মোদী এই প্রথম শান্তিনিকেতনে আসছেন। ২০০৮ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ সমাবর্তনে এসেছিলেন। শেষ বার অর্থাৎ, ২০১৩ সালের ডিসেম্বরের সমাবর্তনে ‘পরিদর্শক’ হিসেবে ছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। তার পর থেকে নানা জটিলতায় সমাবর্তন হয়নি। গত ৩ ফেব্রুয়ারি, ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব নেন সবুজকলি সেন। তখনই তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর লক্ষ্য— সমাবর্তন অনুষ্ঠানটি করা।
শনিবার সন্ধ্যায় এক সাংবাদিক বৈঠকে সবুজকলি সেন জানান, প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে দিন দশেক আগে সমাবর্তনের স্থান (আম্রকুঞ্জ), নিরাপত্তা-সহ নানা দিক খতিয়ে দেখা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘সমাবর্তনে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীকে রেক্টর হিসেবে উপস্থিত থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আমন্ত্রণ জানানো হবে।’’ নবান্ন সূত্রের খবর— দেশ ও পড়শি দেশের প্রধানমন্ত্রী যেখানে থাকছেন, আমন্ত্রণ পেলে মুখ্যমন্ত্রীও যে সেই অনুষ্ঠানে যাবেন, সেটাই স্বাভাবিক।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর— ১৬ এপ্রিল, বিশ্বভারতীর শিক্ষাসমিতিতে সম্ভাব্য পুরস্কার প্রাপকদের নাম ঠিক হয়েছে। এই তালিকা পাঠানো হয়েছে আচার্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে।