জাতীয় নির্বাচন কমিশনের বার্তা মেনে চার আধিকারিককে নিলম্বিত (সাসপেন্ড) করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু এফআইআর করা নিয়ে কমিশনের নির্দেশ এখনও কার্যকর হয়নি। সূত্রের দাবি, এ বিষয়ে কমিশনের কাছে আরও কিছুটা সময় চেয়েছে রাজ্য। যদিও সরকারি ভাবে প্রশাসনের শীর্ষমহল এ বিষয়ে মুখ খুলতে চায়নি। অন্যদিকে বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (এসআইআর) আগে প্রস্তুতি কী পর্যায়ে রয়েছে, তা নিয়ে রিপোর্ট চেয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
কমিশনের নির্দেশ মেনে বৃহস্পতিবারই দুই ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার (ইআরও)তথা ডব্লিউবিসিএস (এগজিকিউটিভ) অফিসার এবং দু’জন সহকারী ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসারকে (এইআরও) সাসপেন্ড করেতাঁদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছে নবান্ন। এই বার্তা জানানো হয়েছে দিল্লির নির্বাচন সদনেও। তবে কমিশন সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে এফআইআর-ও করতে বলেছিল রাজ্যকে।যদিও বৃহস্পতিবার, কমিশনের বেঁধে দেওয়া সময়ের শেষ দিনে তা কার্যকর করেনি রাজ্য। তবে এ ব্যাপারেআরও কিছুটা সময় চেয়ে রাজ্যের তরফে কমিশনকে অনুরোধ করা হয়েছে বলে সূত্রের দাবি। কমিশন রাজ্যের এই অবস্থান মানবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। কারণ, সপ্তহে দু’বার কমিশনের ফুল বেঞ্চের বৈঠক বসে। মনে করা হচ্ছে, আগামী সপ্তাহে এ ব্যাপারে কোনও বার্তা পাঠাতেপারে কমিশন।
অন্য দিকে, এসআইআর-এর আগে প্রস্তুতি কতটা হয়েছে, সব রাজ্যের সঙ্গে এ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (সিইও) দফতরের থেকে তা জানতে চেয়েছে কমিশন। জানতে চাওয়া হয়েছে উপযুক্ত সংখ্যায় ইআরও, এইআরও বা বুথ লেভেল অফিসার রয়েছেন কি না। শূন্যপদ পূরণের কাজ কতটা এগিয়েছে, তা-ও জানাতে হবে তাদের। ২৯ অগস্টের মধ্যে এই রিপোর্ট দিতে হবে কমিশনকে। ওই দিনই হতে পারে সর্বদলীয় বৈঠক।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)