চিকিৎসার গাফিলতিতে বাদ গেল হাত!
চিকিৎসার গাফিলতিতে বাদ গেল রোগীর ডান হাতের একাংশ। এমনই অভিযোগ খড়্গপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। স্বাস্থ্য কমিশনে ওই হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন দোলনকুমার মণ্ডল। শুক্রবার সব পক্ষের বক্তব্য শুনে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ৩ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
ঘটনার সূত্রপাত গত বছর। ২০২০-র ২১ জানুয়ারী বাঁ হাতের একটি আঙুলে সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন গীতারানি মণ্ডল। বছর ৬৫-এর গীতারানি খড়্গপুরেরই বাসিন্দা। চিকিৎসকরা হাতের ওই আঙুলের অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন। সফল ভাবে সম্পন্ন হয় অস্ত্রোপচারও। কিন্তু বিভ্রাট ঘটে ২২ জানুয়ারি। ওই দিন তাঁর ডান হাতে একটি ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। তার পর থেকেই তাঁর হাতে অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হয় এবং রক্ত জমাট বেঁধে যায় বলে রোগীর ছেলে অভিযোগ করেন।
ডান হাতের চিকিৎসা করাতে গীতারানিকে কলকাতার এক বেসরকারি হাপাপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই ডান হাতের কনুই পর্যন্ত অংশ বাদ দেওয়া হয়। শুক্রবার কমিশনের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অসীম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কলকাতার যে হাসপাতালে গীতারানির চিকিৎসা হয়েছিল, সেই হাসপাতালের চিকিৎসকদের ধারণা, ইঞ্জেকশনের দেওয়ার জন্যই এই বিপত্তি ঘটেছে।’’ অভিযুক্ত হাসপাতাল গীতার দুই হাতের চিকিৎসারই ভার বহন করলেও অভিযোগকারীকে আরও তিন লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
এ ছাড়াও কলকাতার অন্য এক হাসপাতালের বিরুদ্ধে ভুল কোভিড রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগ করেন এক রোগী। চলতি বছরের ১৬ মে লেনিন সরণির এক বেসরকারি হাসপাতালে রোগীর কোভিড পরীক্ষার পর রিপোর্টে লেখা ছিল ‘প্রিজাম্পটিভ পজিটিভ’। যার ভিত্তিতে ওই রোগীকে এক সপ্তাহ কোভিড ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা করা হয়। এক সপ্তাহ পর আবার পরীক্ষা করলে কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট আসে। কমিশনের মতে, কোভিড পরীক্ষার রিপোর্টে ‘প্রিজাম্পটিভ পজিটিভ’ লেখা অর্থহীন। এবং এই রিপোর্ট ভুল বলে মত কমিশনের। তাই ওই কয়েক দিনের চিকিৎসার খরচ ২ লক্ষ ৩২ হাজার টাকা রোগীকে ফেরতের নির্দেশ দিল কমিশন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy