সারদা কেলেঙ্কারির তদন্তের জল যে এত দূর গড়িয়েছে, তার সূত্রপাত প্রদেশ কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নানের করা একটি মামলা থেকে। সারদা কেলেঙ্কারির সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়ে মান্নানই সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন। সেই মামলায় দেশের শীর্ষ আদালতের রায়েই সারদা কাণ্ডের তদন্তে নেমেছে সিবিআই এবং তার জেরে নাকানি চোবানি খাচ্ছে তৃণমূল। কিন্তু মান্নানের দল কংগ্রেস রাজ্যে তার ফায়দা বিশেষ নিতে পারছে না। এই পরিস্থিতিতে রণকৌশল ঠিক করতে দিল্লিতে মান্নান-সহ প্রদেশ নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনায় বসছেন কংগ্রেস সহ সভাপতি রাহুল গাঁধী।
তাঁরই করা মামলার ফলে সারদা কাণ্ডের সিবিআই তদন্তে তৃণমূল কোণঠাসা হলেও কংগ্রেসের অন্দরে তার স্বীকৃতি না পাওয়ায় দীর্ঘ দিন ধরেই ক্ষুব্ধ মান্নান। রাহুল অবশ্য মান্নানকে ফোন করে ব্যক্তিগত ভাবে অভিনন্দন জানিয়েছেন। সারদা কাণ্ডে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করতে মান্নান কাল দিল্লি যাচ্ছেন। একই দিনে তিনি, অধীর চৌধুরী, প্রদীপ ভট্টাচার্য রাহুলের সঙ্গে বৈঠক করবেন। যার মূল আলোচ্য সারদা কাণ্ডের ফায়দা কংগ্রেস কী ভাবে নিতে পারে, তা ঠিক করা।
কংগ্রেসের একটা অংশ মনে করে অধীরবাবুকে প্রদেশ সভাপতি পদ থেকে সরানো উচিত। আবার দলেরই অনেকের মতে, সেটা চরম পদক্ষেপ হয়ে যাবে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে চায় হাইকম্যান্ড। অদূর ভবিষ্যতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতা করা হবে কি না, তা নিয়েও কংগ্রেসের মধ্যে প্রশ্ন আছে। মান্নান যেমন চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, তিনি তৃণমূলের সঙ্গে আসন সমঝোতার বিরুদ্ধে। বরং, সিপিএমের সঙ্গে সমঝোতার পক্ষে তিনি। কিন্তু সেটাও না-পসন্দ প্রদেশ কংগ্রেসের একটি বড় অংশের। তাদের মত, রাজ্যে সিপিএমের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ এখনও টাটকা। ফলে তাদের সঙ্গে সমঝোতায় গেলে জনসমর্থন পাওয়া যাবে না। এই পরিস্থিতিতে কালকের বৈঠকে রাহুল এই বিষয়গুলিতে কোনও আলোকপাত করেন কি না, তা নিয়ে কৌতূহলী প্রদেশ কংগ্রেস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy