Advertisement
১৫ অক্টোবর ২০২৪
Iran Protest

ইরানে ফের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হল ৩ জনকে

চার মাস আগে ঠিক মতো হিজাব না পরার ‘অপরাধে’ গ্রেফতার হয় মাহসা আমিনিকে। ১৬ সেপ্টেম্বর পুলিশি হেফাজতে তাঁর মৃত্যু হয়। এর পর ইরানে হিজাব-বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়।

১৬ সেপ্টেম্বর পুলিশি হেফাজতে মাহসা আমিনির মৃত্যু হয়। এর পর ইরানে হিজাব-বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়।

১৬ সেপ্টেম্বর পুলিশি হেফাজতে মাহসা আমিনির মৃত্যু হয়। এর পর ইরানে হিজাব-বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়। ফাইল ছবি।

তেহরান শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০২৩ ০৭:৪৮
Share: Save:

হিজাব-বিরোধী আন্দোলনে যুক্ত আরও তিন জনকে মৃত্যুদণ্ড দিল ইরানের আদালত। তিন জনেরই অপরাধ, আন্দোলন চলাকালীন তারা নিরাপত্তা বাহিনীর তিন কর্মীকে খুন করেছে।

চার মাস আগে ঠিক মতো হিজাব না পরার ‘অপরাধে’ গ্রেফতার হয় মাহসা আমিনিকে। ১৬ সেপ্টেম্বর পুলিশি হেফাজতে তাঁর মৃত্যু হয়। এর পর ইরানে হিজাব-বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়। কঠোর হাতে বিদ্রোহ দমন করার চেষ্টায় সরকার। বেশ কয়েক জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত এক আন্দোলনকারীকে প্রকাশ্য ক্রেন থেকে ঝুলিয়ে ফাঁসি দেওয়া হয়। আজ আরও তিন জনকে মৃত্যুদণ্ড দিল আদালত। প্রায় সকলের বিরুদ্ধেই অভিযোগ, বাহিনীর উপরে হামলা চালিয়েছে। যদিও চার্জশিটে উল্লেখ, তারা ধর্মের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। যার সাজা সর্বোচ্চ— প্রাণদণ্ড। এই নিয়ে তিন মাসে ১৭ জনকে এই সর্বোচ্চ সাজা শোনানো হল। এর মধ্যে চার জনের ফাঁসি হয়ে গিয়েছে। দু’জনের সাজা স্থগিত রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। বাকিদের মামলা চলছে। এ দিন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন জন হল সালে মিরহাশেমি, মাজিদ কাজ়েমি ও সইদ ইয়াগুবি। তারা ফের আবেদন জানাতে পারবে আদালতে। এই তিন জনের চার্জশিটেও লেখা হয়েছে ‘মোহারেবে’, অর্থাৎ ঈশ্বরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা। এই ঘটনায় জড়িত হওয়ার অপরাধে আরও দু’জনের জেল হয়েছে।

শনিবারই মহম্মদ মেহদি কারামি এবং সইদ মহম্মদ হোসেনিকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। অপরাধ— নভেম্বরে তেহরানের পশ্চিমে কারাজে আধাসামরিক বাহিনীর এক সদস্যকে খুন করে তারা। মহসেন শেকারি ও মাজিদরেজা রাহনাবার্দ নামে দুই আন্দোলনকারীকে ডিসেম্বরে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। দু’জনে দু’টি পৃথক ঘটনায় অভিযুক্ত ছিল। হিজাব-বিরোধী আন্দোলন দমন করতে ইরান সরকারের এই ভূমিকায় ক্ষুব্ধ গোটা বিশ্ব। তেহরানের বিরুদ্ধে একাধিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে পশ্চিম।

সম্প্রতি ফেসবুকে একটি স্লোগান ভাইরাল হয়েছে, ‘ডেথ টু খামেনেই’। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেইকে নিয়ে এই পোস্টে শোরগোল পড়েছে। ফেসবুকের সংস্থা মেটা-র পর্যবেক্ষণকারী বিভাগ ‘ওভারসাইট বোর্ড’ রায় দিয়েছে, এই স্লোগান ফেসবুক থেকে সরানো হবে না। তাদের বক্তব্য, ‘ডেথ’ বলতে— ‘ডাউন উইথ খামেনেই’ বোঝাচ্ছে। অর্থাৎ কি না খামেনেই নিপাত যাক। বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, এটি কোনও হুমকি নয়, রাজনৈতিক স্লোগান। সংবাদ সংস্থা

অন্য বিষয়গুলি:

Iran Protest death sentence Mahsa Amini
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE