ভিডিয়োর সম্প্রচার করে প্রতারণার অভিনব ছক কষেছিলেন দুষ্কৃতীরা। প্রতীকী ছবি।
অনলাইনে পর্ন ভিডিয়োর সম্প্রচার করে প্রতারণার অভিনব ছক কষেছিলেন দুষ্কৃতীরা। লোক ঠকিয়ে আয়ও হচ্ছিল প্রচুর। কিন্তু বেশি দিন এই কারবার চালানো গেল না। তাঁদের প্রতারণাচক্র হাতেনাতে ধরে ফেলল পুলিশ।
সম্প্রতি পর্ন ভিডিয়োর মাধ্যমে প্রতারণার অভিযোগে মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। তাঁদের খোঁজে ঢাকা ছাড়াও দেশের অন্যান্য শহরে তল্লাশি চালানো হয়েছিল। ধৃত মূল অভিযুক্তের নাম আবু মুসা ইমরান আহমেদ ওরফে সানি। তিনিই একটি অ্যাপের মাধ্যমে প্রতারণাচক্র চালাতেন বলে অভিযোগ। তাঁর আরও ৫ সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। ধৃতরা হলেন, মহম্মদ আবু শামা, ফাতেমা আখতার, শায়লা আখতার, শাহ আরমান এবং মহম্মদ সেলিম।
অভিযোগ, অনলাইনে পর্ন ভিডিয়োর সরাসরি সম্প্রচার করতেন ধৃতরা। প্রতারণার মাধ্যমে মোটা টাকা হাতিয়ে নিতেন ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে। তার পর তা বিদেশে পাচারও করতেন। অভিযুক্ত আবু মুসা সারা দেশে ১২০টির বেশি এজেন্সির মাধ্যমে পর্ন ভিডিয়োর কারবার চালাচ্ছিলেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মহম্মদ আসাদুজ্জামান প্রথম আলো-কে বলেন, ‘‘নিয়মিত সাইবার পেট্রলিংয়ের মাধ্যমে আমরা একটি আন্তর্জাতিক ভিডিয়ো প্ল্যাটফর্মের আর্থিক ক্রিয়াকর্ম সম্পর্কে জানতে পারি। ‘ড্রিম লাইভ’ নামে সেই অ্যাপের মূল পরিচালক আবু মুসাকে শনাক্ত করা হয়। তিনি এবং তাঁর সহযোগীরা বাংলাদেশে অননুমোদিত ভার্চুয়াল ডায়মন্ড ও ভার্চুয়াল গেম কয়েনে অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে অনেকের থেকে অনেক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। গত ৩ মাসে ৩০ কোটি টাকার অবৈধ লেনদেনের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে।’’
ধৃতদের কাছ থেকে ১১টি মোবাইল ফোন, ১৭টি সিম কার্ড, ২টি ল্যাপটপ এবং বিভিন্ন ব্যাঙ্কের ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড উদ্ধার করেছে পুলিশ। বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ধৃতদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy