পুলিশের কব্জায় হাফিজ সইদ। ছবি: এপি।
মোদী আর ট্রাম্পের যোগসাজসেই তাঁকে গৃহবন্দি হতে হল। মন্তব্য লস্কর-ই-তৈবার প্রধান হাফিজ মহম্মদ সইদের। সোমবারই পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রক হাফিজ সইদকে গৃহবন্দি করার নির্দেশ দেয়। লাহৌর থেকে আটক করে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর ফয়সল টাউনের বাসভবনে। আগামী তিন মাসের জন্য সেখানেই বন্দি থাকবেন মুম্বই হামলার মূল চক্রী। আটক হওয়ার পর ক্রুদ্ধ সইদের মন্তব্য— মোদী আর ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বের জন্যই পাকিস্তান তাঁকে গৃহবন্দি করতে বাধ্য হল।
হাফিজ সইদকে গৃহবন্দি করার বিষয়ে পাক সেনা সোমবারই বিবৃতি দিয়েছে। ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনসের ডিজি মেজর জেনারেল আসিফ গফুর বলেছেন, ‘‘এটা দেশের স্বার্থে নেওয়া একটি নীতিগত সিদ্ধান্ত। অনেক প্রতিষ্ঠানকেই তাদের নিজের নিজের কাজ করতে হবে।’’
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে গৃহবন্দি মুম্বই হামলার মূল চক্রী হাফিজ সইদ
অন্য দিকে, আটক হওয়ার পর হাফিজ সইদ বলেছেন, ‘‘মোদীর উস্কানি, ট্রাম্পের চাপ আর পাকিস্তানের অসহায়তার কারণেই এটা হচ্ছে।’’ ভারতের প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শেই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পাকিস্তানের উপর প্রবল চাপ সৃষ্টি করেছেন বলে হাফিজের দাবি। সেই চাপের সামনে অসহায় ভাবে পাকিস্তান নতি স্বীকার করেছে এবং তাঁকে গৃহবন্দি করার নির্দেশ দিয়েছে বলে হাফিজ মনে করছেন।
সাতটি মুসলিম প্রধান দেশের বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। পাকিস্তান সেই নিষেধাজ্ঞার আওতায় নেই। কিন্তু পাকিস্তানকেও যে শীঘ্রই এই তালিকায় আনা হতে পারে, হোয়াইট হাউজ সেই ইঙ্গিতও দিয়েছিল। তার পরই লস্কর-ই-তৈবা এবং জামাত-উদ-দাওয়ার প্রধান হাফিজ সইদকে গৃহবন্দি করেছে পাকিস্তান। আপাতত তিন মাসের জন্য তাঁকে গৃহবন্দি করা হয়েছে। প্রয়োজন হলে এই মেয়াদ আরও বাড়তে পারে বলেও পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রক জানিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy