টেমস নদীর জলে পা ডোবাচ্ছেন এক যুবক। সেই ভিডিয়ো ঘিরে শোরগোল শুরু হয়েছে সমাজমাধ্যমে। একাংশের বক্তব্য, ওই যুবক ভারতীয়। তাঁরা বলছেন,‘গঙ্গা-যমুনায় হচ্ছে না আর, এখন টেমসের জলেও পা ধুতে হচ্ছে।’ পাল্টা এক দল বলছেন যে, ‘বাদামি’ গাত্রবর্ণের মানুষ মাত্রেই ভারতীয় হন না। এই সূত্রে উঠে আসছেবর্ণবৈষম্যের অভিযোগও।
টেমসকে এক সময়ে ‘বাস্তুতন্ত্রের দিক থেকে মৃত’ বলা হত। এখন এই নদীর হাল ফেরাতে বিভিন্ন রকমের উদ্যোগ হয়েছে। পয়ঃপ্রণালীর বর্জ্য এবং প্লাস্টিক-সহ বিভিন্ন দূষণে নদীটি জর্জরিত হয়ে রয়েছে তার পরেও। হ্যামারস্মিথ সেতুর কাছে টেমস নদীর বাঁকে দ্বীপের মতো চেহারা নিয়েছিল পয়ঃপ্রণালীতে ফেলে দেওয়া ওয়েট ওয়াইপস, স্যানিটারি ন্যাপকিন-সহ নানা আবর্জনার স্তূপ। সেটি ছিল ২৫০ মিটার দীর্ঘ, প্রায় দু’টি টেনিস কোর্টের মতো বড়। কিছু জায়গায় উচ্চতা ছিল এক মিটার পর্যন্ত। ওজন ১৫টি ডাবল-ডেকার বাসের সমান। প্রায় তিন মাসের চেষ্টায়, গত মাসের শেষেই সেই ‘ওয়েট ওয়াইপের দ্বীপ’ সরানো সম্ভব হয়েছে টেমসের বুক থেকে।।
সেই দিক থেকে টেমসে পা ধোয়া উচিত হয়নি বলেই মত অনেকের। অপর পক্ষের বক্তব্য, সাবান ব্যবহার না করে নিছক জলে পা ডোবালে খুব ক্ষতি হওয়ার কথা নয়। তাঁদের কটাক্ষ, নদীতে পা ধোয়া, না কি পা মুছে সেই ন্যাকড়া শৌচাগার থেকে পয়ঃপ্রণালী মারফত সেই টেমসেই পাঠানো— ক্ষতি বেশি কোনটায়?
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)