E-Paper

তারেক-সহ সব অভিযুক্তই মুক্ত শীর্ষ আদালতে

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর-সহ সব অভিযুক্তকে মুক্তি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৯:১০
তারেক রহমান।

তারেক রহমান। —ফাইল চিত্র।

ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের একটি সমাবেশে ২০০৪ সালের ২১ অগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত হন আওয়ামী লীগের নারী বিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমান-সহ ২৪ জন। আহত হন শেখ হাসিনা-সহ আওয়ামী লীগের কয়েক শো নেতাকর্মী। আজ বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টে সেই মামলার ঘোষণা করল। তাতে হাই কোর্টের রায়কেই বহাল রাখল শীর্ষ আদালত। আজ এই মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর-সহ সব অভিযুক্তকে মুক্তি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আজকের রায়কে ‘ন্যায়বিচারের প্রতি পুরো জাতির আস্থার মৃত্যু’ বলেছে আওয়ামী লীগ।

রায় ঘোষণার পরে বিএনপি-র আইনজীবী কায়সার কামাল বলেন, “শেখ হাসিনা ব্যক্তিগত জিঘাংসা থেকে তারেক রহমানকে একুশে অগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় অন্যায় ভাবে অর্ন্তভুক্ত করেছিলেন। সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে প্রমাণিত হয়েছে যে তারেক নির্দোষ।” আজ সকাল ১০টা ৫ মিনিটে শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৬ বিচারপতির বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করে।

গত বছর ১ ডিসেম্বর এই মামলায় তারেক রহমান-সহ সমস্ত আসামিকে মুক্তি দিয়েছিল হাই কোর্ট। পরে ১৯ মার্চ সেই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করে সরকার পক্ষ। আজ সরকারি পক্ষের দায়ের করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত।

এই রায়ের তীব্র সমালোচনা করেছে শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগ। ফেসবুক পোস্টে দলের তরফে বলা হয়েছে, ‘আজ দেশের মানুষ আবারও হতবাক। বাংলাদেশের আপিল বিভাগ বিএনপি-র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর-সহ সব আসামির খালাস বহাল রেখেছে। এ রায় কেবল একটি মামলার সমাপ্তি নয়; এটি পুরো জাতির ন্যায়বিচারের প্রতি আস্থার মৃত্যু।’ আজকের রায়ের জন্য সরাসরি মুহাম্মদ ইউনূস প্রশাসনকে দায়ী করেছে আওয়ামী লীগ। সমাজমাধ্যমে তারা লিখেছে, ‘জাতি আজ প্রত্যক্ষ করছে খুনি, জঙ্গি, যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতা বিরোধীরা আবারও রাষ্ট্রের ছায়াতলে নিরাপদ আশ্রয় পাচ্ছে। একুশে আগস্টের মতো নির্মম হত্যাকাণ্ডের অপরাধীদের খালাস দিয়ে ইউনুস সরকার প্রমাণ করেছে, তারা জনগণের নয়, বিদেশি প্রভুদের স্বার্থ রক্ষায় নিয়োজিত। রক্তমাখা ক্ষমতার চুক্তি ধরে রাখতে তারা ন্যায়বিচারকে কবর দিয়েছে। তাই এ সরকারের পতন অনিবার্য’।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Bangladesh bnp Bangladesh Awami League

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy