যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের জন্য আরও সামরিক সাহায্য ঘোষণা করতে চলেছে আমেরিকা। ফাইল ছবি।
যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের জন্য আরও সামরিক সাহায্য ঘোষণা করতে চলেছে আমেরিকা। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, প্রায় ৪০ কোটি ডলারের যুদ্ধাস্ত্র পাঠানো হবে। বিষয়টি জানাজানি হতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছে রাশিয়া। উল্টো দিকে, আমেরিকার ক্ষোভ, রাশিয়াকে অস্ত্র দিচ্ছে চিন। বেজিং কেন যুদ্ধে নাক গলাচ্ছে, সে প্রশ্নও তুলেছে ওয়াশিংটন।
আমেরিকা সরকারের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে নতুন অস্ত্রসাহায্য নিয়ে কিছু জানানো হয়নি। প্রশাসনের দুই কর্তা নিজেদের নামগোপন রাখার শর্তে সাহায্যের অঙ্কটি ৪০ কোটি ডলার জানিয়েছেন। তাঁদের থেকেই জানা গিয়েছে, আমেরিকার পাঠানো নতুন অস্ত্রভান্ডারে থাকবে হিমার লঞ্চারের জন্য ‘গাইডেড মাল্টিপল লঞ্চ রকেটস’ (জিএমএলআরএস), ‘ব্র্যাডলি ফাইটিং ভেহিকলস’ এবং সশস্ত্র যুদ্ধযান। আজ জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজ়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে কথা হয়েছে দু’পক্ষের। আমেরিকার নতুন অস্ত্রসাহায্য নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
এর প্রেক্ষিতে দুই দেশকেই ‘সতর্ক’ করেছে রাশিয়া।পশ্চিম আরও অস্ত্র পাঠালে তাদের ভুগতে হবে বলে বার্তা দিয়েছে মস্কো। আমেরিকা-জার্মানির পাল্টা প্রশ্ন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে চিন কেন নাক গলাচ্ছে! মস্কোর দাবি, আগে ইউক্রেনকে মদত দেওয়া বন্ধ করুক পশ্চিম। তাদের বক্তব্য, এ ভাবে ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করে যুদ্ধকে আরও দীর্ঘায়িত করছে আমেরিকা-ইউরোপ। তা ছাড়া, অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়ছে তারা নিজেরাও। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ বলেন, ‘‘এ ভাবে অস্ত্র সরবরাহ করে পশ্চিমের দেশগুলির উপরে ঋণের বোঝা চাপছে। এ সব দেশের বাসিন্দাদের জীবনযাপন ক্ষতির মুখে পড়ছে। এর মধ্যে জার্মানিও রয়েছে।’’
জার্মানি এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। তাদের দাবি, চিন রাশিয়ার বন্ধু। তারা মধ্যস্থতা করুক। অস্ত্র না পাঠিয়ে যুদ্ধ বন্ধের চেষ্টা করুক। ইউক্রেনের জমি থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহারে চাপ দিক চিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy