পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি)-য় মোতায়েন করার বার্তা দেওয়া হয়েছিল মাস দুয়েক আগেই। পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ড নিয়ে তৈরি হওয়া উত্তেজনার আবহে এ বার সেই ‘ফতেহ্’ সিরিজ়ের স্বল্পপাল্লার ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (শর্ট রেঞ্জ ব্যালেস্টিক মিসাইল বা এসআরবিএম) পরীক্ষা করল পাক ফৌজ।
পাক সেনার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ দফতর (আইএসপিআর)-এর তরফে সোমবার জানানো হয়েছে, এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা যুদ্ধমহড়া ‘ইন্ডাস’ (সিন্ধু)-এর অংশ। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও কাণ্ড নিয়ে সংঘাতের আবহে গত শনিবার ‘আবদালি’ নামে ৪৫০ কিলোমিটার পাল্লার ব্যালেস্টিক ‘ভূমি থেকে ভূমি’ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছিল পাক ফৌজ। তার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই ১২০ কিলোমিটার পাল্লার ‘ভূমি থেকে ভূমি’ ক্ষেপণাস্ত্র ‘ফতেহ্’-র পরীক্ষা করা হল।
আইএসপিআর-এর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এই উৎক্ষেপণের লক্ষ্য ছিল সেনাদের অপারেশনাল প্রস্তুতি নিশ্চিত করা এবং ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নত নেভিগেশন ব্যবস্থা এবং নির্ভুল লক্ষ্যভেদে আঘাত হানার দক্ষতা-সহ গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিগত মাপকাঠিগুলি যাচাই করা।’’ প্রসঙ্গত, পাক সেনা এবং সংবাদমাধ্যমের দাবি, ভারতীয় সেনার ব্যবহৃত রুশ ‘এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থার ‘রক্ষাকবচ’ ভেঙে আঘাত হানতে পারে ‘ফতেহ্’।
ইসালামাবাদের দাবি, এই ক্ষেপণাস্ত্রে রয়েছে অত্যাধুনিক দিক নির্দেশকারী ব্যবস্থা (নেভিগেশন সিস্টেম)। হাতিয়ারটিকে কৃত্রিম উপগ্রহের সাহায্যে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। ফলে প্রতিপক্ষের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থার পক্ষে একে চিহ্নিত করা কঠিন। পাকিস্তানের সরকারি সংস্থা ‘গ্লোবাল ইন্ডাস্ট্রিজ় অ্যান্ড ডিফেন্স সলিউশন’ (জিআইডিএস)-এর তৈরি এই ক্ষেপণাস্ত্র ট্রাকবাহিত ভ্রাম্যমাণ লঞ্চার থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য। তাই যুদ্ধ পরিস্থিতিতে দ্রুত কৌশলগত মোতায়েন সম্ভব।