ইজ়রায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত দক্ষিণ লেবাননের বিস্তীর্ণ অংশ। —ফাইল ছবি।
ইজ়রায়েলের নিশানায় এ বার হিজ়বুল্লার গোয়েন্দা শাখার ঘাঁটি। বৃহস্পতিবার রাতে লেবাননের রাজধানী বেরুটে এই ঘাঁটি লক্ষ্য করেই রকেট হামলা চালায় ইজ়রায়েলি সেনা। কয়েকটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে এমনটাই জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স। তবে ইজ়রায়েল কিংবা হিজ়বুল্লার তরফে প্রকাশ্যে এই বিষয়ে এখনও কিছু জানানো হয়নি।
প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, এই হামলায় মূলত নিশানা করা হয়েছে হিজ়বুল্লা নেতা হাশেম সফিদ্দিনকে। হিজ়বুল্লা প্রধান নাসরল্লার মৃত্যুর পর হাশেমই ইরানের সমর্থনপুষ্ট সশস্ত্র এই গোষ্ঠীকে নেতৃত্ব দেবেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে ইজ়রায়েলের এই হামলার পর তিনি জীবিত রয়েছেন কি না, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কিছু দাবি করেনি তেল আভিভ। মুখ খোলেনি হিজ়বুল্লাও।
‘নিউ ইয়র্ক টাইমস’-এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে হিজ়বুল্লার গোয়েন্দা ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইজ়রায়েল। সেই সময় ওই ঘাঁটিতে মাটির নীচে থাকা গোপন একটি বাঙ্কারে অন্য হিজ়বুল্লা নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছিলেন সফিদ্দিন। ওই বাঙ্কারেই হামলা চালানো হয়। সংবাদপত্রটির প্রতিবেদন অনুসারে, গত ২৭ সেপ্টেম্বর হিজ়বুল্লার তৎকালীন প্রধান নাসরল্লার মৃত্যুর পর আর এত বড় হামলা চালায়নি ই়জ়রায়েল।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর লেবাননের রাজধানী বেরুটের দক্ষিণ দিকের শহরতলিতে হিজ়বুল্লার ভূগর্ভস্থ বাঙ্কার লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইজ়রায়েল। জানা যায়, সেই সময় ওই বাঙ্কারেই ছিলেন নাসরল্লা। হিজ়বুল্লা দাবি করে, ইজ়রায়েলি হানাতেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। ইজরায়েলের তরফেও একই দাবি করা হয়। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স অবশ্য তাদের একটি প্রতিবেদনে জানায়, নাসরল্লার দেহে তেমন কোনও গুরুতর আঘাত ছিল না। তাই আতঙ্কে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েও মারা যেতে পারেন তিনি।
নাসরল্লার মৃত্যুর পর তাঁরই আত্মীয় সফিদ্দিনকে সশস্ত্র সংগঠনটির সম্ভাব্য প্রধান হিসাবে তুলে ধরা হয়। হিজ়বুল্লার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নির্ধারণে সবিশেষ ভূমিকা রয়েছে তাঁর। তা ছাড়া সফিদ্দিন হিজ়বুল্লার জিহাদ কাউন্সিলের সদস্যও বটে। জিহাদ কাউন্সিল সশস্ত্র সংগঠনটির সামরিক কার্যকলাপ পরিচালনা করে থাকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy