বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতার মেয়াদ আরও দুই মাসের জন্য বৃদ্ধি করল সে দেশের অন্তর্বর্তী সরকার। বৃহস্পতিবার একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এমনটাই জানিয়েছে মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রক। বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ অনুসারে, আগামী ১৫ মার্চ থেকে ৬০ দিনের জন্য এই বিশেষ ক্ষমতার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পরে উদ্ভূত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর কর্তাদের হাতে বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া হয়। গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তার পর থেকে দফায় দফায় বিশেষ ক্ষমতার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর (সেনা, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনী) কর্তাদের এই বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া হয়। বাহিনীর ক্যাপ্টেন বা তা থেকে ঊর্ধ্বতন কোনও পদাধিকারীর হাতে এই ক্ষমতা থাকে। এই ক্ষমতা অনুসারে বাংলাদেশের ফৌজদারি বিধির বেশ কিছু ধারায় কোনও অপরাধের অভিযোগে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে পারেন বাহিনীর কর্তারা। সেনাকর্তা ছাড়াও সমপদমর্যাদার কমিশনপ্রাপ্ত আধিকারিকদের হাতেও এই ক্ষমতা দেওয়া হয়। এ বার ওই ক্ষমতার মেয়াদ আরও দু’মাসের জন্য বৃদ্ধি করল ইউনূস সরকার।
আরও পড়ুন:
গত বছরের জুলাই-অগস্ট মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেরে বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতন হয়। আওয়ামী লীগের সরকারের পতনের আগে জুলাই মাসে ছাত্র-জনতার আন্দোলন সামাল দিতে গোটা বাংলাদেশে কারফিউ জারি করেছিল তৎকালীন হাসিনা সরকার। দেশ জুড়ে মোতায়েন করা হয় বাহিনীও। ওই পরিস্থিতির মাঝে গত বছরের ৫ অগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। হাসিনার পতনের তিন দিনের মাথায় গত ৮ অগস্ট গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার, তার প্রধান করা হয় ইউনূসকে। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে গত সেপ্টেম্বরে বাহিনীর কর্তাদের হাতে এই বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া হয় আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য।