পাকিস্তানের পর এ বার বাংলাদেশকেও ঋণ দিচ্ছে আন্তর্জাতিক অর্থভান্ডার (আইএমএফ)। আগামী মাসেই আইএমএফ থেকে চতুর্থ এবং পঞ্চম কিস্তির টাকা বাংলাদেশ পেয়ে যাবে বলে আশা করছে সে দেশের অর্থমন্ত্রক। বুধবার দুপুরে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এ কথা জানিয়েছে সে দেশের অন্তর্বর্তী সরকার। সম্প্রতি পাকিস্তানকে ১০০ কোটি ডলার অতিরিক্ত ঋণ মঞ্জুর করেছে আইএমএফ। তবে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এটি কোনও অতিরিক্ত ঋণ নয়। আগে থেকেই বাংলাদেশের জন্য আইএমএফের ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ মঞ্জুর হয়ে রয়েছে। সেটিরই চতুর্থ এবং পঞ্চম কিস্তি আগামী মাসে পেতে পারে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার।
আন্তর্জাতিক অর্থভান্ডার থেকে মঞ্জুর করা ঋণ সাধারণত এক বারে পুরোটা দেওয়া হয় না। বেশ কিছু কিস্তিতে ভাগ করে ওই অর্থ দেওয়া হয়। বাংলাদেশকে এর আগে গত বছরের জুন মাসে এই ঋণের তৃতীয় কিস্তির টাকা দিয়েছিল আইএমএফ। ওই সময়ে বাংলাদেশকে ১১৫ কোটি ডলার পাঠানো হয়েছিল। এ বার আরও দুই কিস্তির অর্থ বাংলাদেশকে পাঠাল আইএমএফ। তার আগে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে প্রথম কিস্তি এবং ফেব্রুয়ারিতে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পেয়েছিল বাংলাদেশ। বস্তুত, এর আগের তিন কিস্তি যখন বরাদ্দ হয়েছিল তখন শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। গত বছরের অগস্টে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম আন্তর্জাতিক অর্থভান্ডার থেকে বরাদ্দ অর্থের কিস্তি পেল বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন:
গত ৯ মে ওয়াশিংটনে আলোচনায় বসেছিল আন্তর্জাতিক অর্থভান্ডারের ঋণ সংক্রান্ত বোর্ড। ওই বৈঠকের পরেই জানা যায়, পাকিস্তানকে প্রায় ১০০ কোটি মার্কিন ডলার বাড়তি ঋণ মঞ্জুর করেছে আইএমএফ। এর পর বুধবার সকালেই পাকিস্তান স্টেট ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, আইএমএফ থেকে অতিরিক্ত ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ইতিমধ্যে পেয়ে গিয়েছে তারা। যদিও দ্বিতীয় কিস্তিতে কী পরিমাণ অর্থ পাচ্ছে তারা, প্রথম কিস্তিই বা কবে পেয়েছে, সে বিষয়ে কোনও তথ্য প্রকাশ্যে আসেনি।